পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Stify জািগয়াজিত tLS DDD BBBDDD S DBBD BDDuDD SDDBB DDD SS DBSYBB বলে-দ্যাখো, তোমাদের দেশের বাড়িটাতে যাবে যাবে বললে, একদিনও তো গেলে না - ভাল বাড়িখানা,-পলদার মাখে শানেছি জমিজমাও বেশ আছে - একদিন গিয়ে বরং সর্বদেখে-শনে এসো। না দেখলে কি ও-সব থাকে ?*** অপ, আমতা আমতা করিয়া বলে -- তা যেতামই তো কিন্তু বড় ম্যালেরিয়া । তাতেই তো সব ছাড়লাম। কিনা ? নৈলে আজ অভাব কি ?*** w কিন্তু অসতক মহতে দ-একটা বেফাঁস কথা মাঝে মাঝে বলিয়াও ফেলে, ভুলিয়া যায় আগে কি বলিয়াছিল। কোন সময়। অপণা কখনও দেখায় নাই যে, এ সব কথার অসামঞ্জস্য সে বঝিতে পারিয়াছে। না খাইয়া যে কষ্ট পায় অপণার এ কথা জানা ছিল না । সচ্ছল। ঘরের আদরে ললিতা মেয়ে, দঃখকলেটর সন্ধান সে জানে না । মনে মনে ভাবে, এখন হইতে সবামীকে সে সখে রাখিবো । এটা একটা নেশার মত তাহাকে পাইয়াছে । অলপদিনেই সে অ্যাকিৎকার করিয়া ফেলিল, অপ, কি কি খাইতে ভালবাসে । তালের ফলটির সে করিতে জানিত না, কিন্তু অপ খাইতে ভালবাসে বলিয়া মনসাপোতায় নিরপোমার काgछ sिश्शिा छद्देझाछ्छ । m এখানে সে কতদিন অপকে কিছ না জানাইয়া বাজার হইতে তাল আনাইয়াছে, সব উপকরণ আনাইযাছে। অপা হয়তো বর্ষার জলে ভিজিয়া আফিস হইতে বাসায় ফিরিয়া হাসিমখে বলিত-কোথায় গেলে অপণা ? এত সকালে রান্নাঘরে কি, দেখি ? পরে উকি দিয়া দেখিয়া বলিত, তালের বড়া ভাজা হচ্ছে বঝি ! তুমি জানলে কি ক’রে-বা রে!:-- অপণা উঠিয়া স্বামীর শকিনো কাপড়ের ব্যবস্থা করিয়া দিত, বলিত, এসো না, ওখানেই বসে খাবে, গরম গরম ভেজে দি- অপাের বািকটা ছৎি করিয়া উঠিত । ঠিক এইভাবেই কথা বলিত মা । অপর অদ্ভুত মনে হয়, মায়ের মত সেনহশীলা, সেবাপরায়ণা, সেইরকমই অন্তযামিনী । বাধক্যের কম ক্লান্ত মা যেন ইহারই নবীন হাতে সকল ভার সপিয়া দিয়া চলিয়া গিয়াছেন ! মেয়েদের দেখিবার চোখ তাহার নতুন করিয়া ফোটে, প্রত্যেককে দেখিয়া মনে হয়, এ কাহারও মা, কাহারও সত্রী, কাহারও বোন । জীবনে এই তিনরপেই নারীকে পাইয়াছে, তাহদের মঙ্গল হস্তের পরিবেষণে এই ছাব্বিশ বৎসরের জীবন পশিষ্ট হইয়াছে, তাহদের কি চিনিতে বাকী আছে তাহার ? সৰ্টীমার ছাড়িয়া দজনে নৌকায় চড়িল । অপণার খড়তুতো ভাই মারারি উহাদের নামাইয়া লইতে আসিয়াছিল, সে-ও গল্প করিতে করিতে চলিল । অপণা ঘোমটা দিয়া একপাশে সরিয়া বসিয়াছিল। হেমন্ত-অপরান্দুের সিনথ ছায়া নদীর বকে নামিয়াছে, বাঁ দিকের তীরে সারি সারি গ্রাম, একখানা বড় হাঁড়ি-কলসী বোঝাই ভড় যশাইকাটির ঘাটে বাঁধা । অপর মনে একটা মাক্তির আনন্দ – আর মনেও হয় না যে জগতে শীলেদের অফিসের মত ভয়ানক স্থান আছে । তাহার সহজ অ্যানন্দ-প্রবণ মন আবার