পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাচ্ছে। বাড়ির কাছে এগিয়ে এসে ওদের কথা শুনে দাঁড়াল সাবিত্রী। সাবিত্রী জানে নিতাই-এর মায়ের স্বভাবের কথা। ওকে তাই আমল দিতে চায় না। গেল। অন্যদিন ডেকে কথা বলে, আজ এড়িয়ে গেল তাকে, এটা সাবিত্রীর বুঝতে দেরী হয় নি। বোধহয় একটা কিছু ঘটেছে। সুযোগ বুঝে নিতাই-এর মা সাবিত্রীর কাছে এগিয়ে এসে বলে। —-দেখলি তো ওই লতিকার গরম। ওর স্বোয়ামী ছাড়া এ বাড়িতে যেন আর কেউ গাড়ি ট্যাক্সি চাপতে পারবে না। তোর উপর তো বেজায় হিংসা সাবিত্রী। আরে রূপগুণ কি তোর একা থাকবে ওই লতিকারই। ওর স্বামী কি মস্ত লোক। কেন আমুর বাপই কি কম এলেমদার ? বিত্রী দাঁড়ালো না, ওর কথার কি দাম তা জানে সে। তাই ভিতরে চলে গেল। নিত্যুর মা গজগজ করে তাই। --ধিঙ্গী মেয়ের আবার ডাট দেখ না ? গুষ্টিশুদ্ধ যেন গরমে পা পড়ছে না। কিসের এত দ্যামাক তা জানি বাপু । বাসস্তবাবু তখনও পটলের বাড়ি-গাড়ির গল্প করে চলেছেন স্ত্রীর কাছে। —বুঝলে আমুর মা-লক্ষ্মী যেন বাধা পড়েছে। ও বলে টুইশানি করে কতো পান মাস্টারমশাই ? ওসব করে কি লাভ ? সুধাময়ী অবাক হয়ে দীঘির পাড়ের সেই সিটুক ছেলেটার কথা শুনছে। বাসস্তবাবুর কথায় শুধোয় সুধাময়ী। --তা কি বললে তুমি ? —কত পাই-বললাম। তাতে পটল শোনালো, যদি আপত্তি না থাকে চলে আসনু আমার এখানে। একজন অনেস্ট লোকের দরকার। আর ওর থেকে বেশীই পাবেন 으 5 | সুধাময়ী এই অন্ধকারের মাঝে কি যেন আলোর সন্ধান পেয়েছে। হয়তো এবার একটা সুযোগ এসেছে, তার অভাবের সংসারের হাল বদলাবে। সুধাময়ী বলে। --তুমি রাজী হয়েছে ? VS