পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পটলের ব্যাপার তীর ভালো ঠেকছে না, দিন দিন কেমন জড়িয়ে পড়ছেন তিনি। মুক্তির জন্য ছটফট করছেন। তাই তিনিও আশাভরে চেয়ে থাকেন ছেলের দিকে। প্রশ্ন করেন। --কবে ওদের রেজাল্ট বের হবে ? অমৃত ওসব কিছু জানে না। তাই জবাব দেয়-বোধহয় দিন দশেকের মধ্যেই একটা কিছু জানা যাবে। দরদভরা একটি কণ্ঠস্বর কি সুরের আমেজ ভরিয়ে তুলেছে। এদো বাড়িটাবাসস্তবাবু উৎকর্ণ হয়ে শোনেন। সুধাময়ী রান্নার চালা থেকে বের হয়ে এসেছে। সাবিত্রীর ওই সু.ে [ এখানের কোনো আবিলতা মেশে নি—দীপশিখার মত সতেজ শুচিমাত প্রদীপ্ত একটি আভার দৃতি জেগে ওঠে। এ বাড়ির অন্ধকারে ওই সরটা বয়ে আনে একটি আশ্বাস, অমৃতও বের হয়ে এসেছে। সুধাময়ী অবাক হয় সাবিত্রীর গলা শুনে। --নাই নাই ভয় হবে, হবে জয় খুলে যাবে। এই দ্বার। বসন্তবাবু উঠে এসেছেন বারান্দায়। অমৃত অন্ধকারে তারাভরা আকাশের দিকে চেয়ে রাত্রির কথাই ভাবছিল হঠাৎ ওই সুরাটা তার মনে পড়তে কি আলোর আভাস আনে। ওরা যেন হারায় নি। বসন্তবাবুর চারিদিকে নাগপাশের মত একটা অদৃশ্য বাঁধন দৃঢ়তার হয়ে আসছে। হাঁপিয়ে উঠছেন তিনি। সাবিত্রীর ওই গান সেই অসহায় অবস্থাকে কাটিয়ে তোেলবার সাহস আনে। এ বাড়ির অন্ধকারের জীবগুলোর কাছে সাবিত্রী যেন বঁাচার আশ্বাস এনেছে। তখনও সুরের রেশ রয়ে গেছে। আশাভরা সুরে বসন্তবাবু বলেন--সাবিত্রীর চেষ্টা বৃথা যাবে না। আমুর মা, ওকে বাধা দিও না। সুধাময়ী ওর দিকে চাইল। সাবিত্রীকে আজ সে অবিশ্বাস করে না। মনে হয় এত ঝড়ের মধ্যেও ওই মেয়েটি সাবধানে একটি প্রদীপ শিখাকে আচল আড়াল দিয়ে বন্ধুর পথ বয়ে চলেছে। সাবিস্ত্রী ওই মালিন্যের অনেক উর্ধের্ব। Σ. Ο δ