পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরস্বতী-বন্দনা ՏԳ ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণে সরস্বতীর উৎপত্তি সম্বন্ধে লিখিত হইয়াছে যে, পরমাত্মা শ্ৰীকৃষ্ণের মুখ হইতে বীণাপুস্তক-হস্তা শুক্লবৰ্ণ এক দেবী আবির্ভূত হন। সৃষ্টিকাৰ্য্যে যিনি প্রকৃষ্টা তিনিই ত্ৰিগুণসম্পন্ন প্ৰকৃতি। রাধা, লক্ষ্মী, দুর্গা, সাবিত্রী ও সরস্বতী,-সৃষ্টি-কাৰ্য্যে এই পাঁচটি প্ৰকৃতি । যিনি পরমাত্মার বাক্য বুদ্ধি বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী তিনিই প্ৰকৃতি সরস্বতী। তিনি পুস্তক-রচয়িত্রী ও সঙ্গীত তানমান প্ৰভৃতির কারণস্বরূপ দেবী। তঁহার করে ব্যাখ্যা-মুদ্রা ও তিনি বীণা-পুস্তক-ধারিণী ; তঁাহার বর্ণ শ্বেতপদ্ম-সন্নিভ । ঐ পুরাণেই বলা হইয়াছে যে, শ্ৰীকৃষ্ণই প্ৰথমে সরস্বতীর পূজা প্ৰবৰ্ত্তিত করেন। মাঘের শুক্লা পঞ্চমীতে এবং বিদ্যারম্ভে মানবগণ ষোড়শ উপচারে তঁহাকে পূজা করিবে, এই বলিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ দেবীকে পূজা করিলেন। তাহাব পর অন্যান্য দেবগণ এবং মানবগণ সরস্বতীর পূজা করিলেন । গুরুশাপে ভ্ৰষ্টজ্ঞান যাজ্ঞবল্ক্য সূৰ্য্যোপদেশে সব স্বতীর উপাসনা করিয়া নষ্টজ্ঞান পুনঃপ্রাপ্ত হইলেন । বিষ্ণুপুরাণে যজ্ঞবল্ক্য ও তাহাব গুরুত্ব কলহের কথার উল্লেখ করিয়া কেবল মাত্র সূৰ্য্যেব্য স্তব দ্বারা শুক্লযজুৰ্বেদ-প্ৰাপ্তির কথা বলা হইয়াছে। ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণ সুৰ্য্যের সহিত সরস্বতীর সংযোগ করিয়া দিয়াছেন। ইহাতে সরস্বতীর মাহাত্ম্য বাড়িল । পরমাত্মা শ্ৰীকৃষ্ণের আদেশে সরস্বতী বিষ্ণুব ভাৰ্য্যা হন। বিষ্ণুর অন্য দুই পত্নীর নাম লক্ষ্মী ও গঙ্গা । একদিন কলহ করার ফলে গঙ্গা সরস্বতীকে শাপ দিলেন, তিনি নদী হইবেন । স্বামী না বায়ণের আদেশে সব্যস্বতীর এক অংশ ব্ৰহ্মার স্ত্রী হইলেন । বাকী অংশ লইয়া তিনি নারায়ণেব নিকট অবস্থান কবিলেন। সরস্বান শব্দের অর্থ প্ৰভূত-জলবিশিষ্ট। সৰ্ব্বব্যাপী হরি দীর্ঘকাল সমুদ্রে শয়ান ছিলেন, এজন্য তাঙ্গাকে জলশায়ী বলা হয় এবং তঁাহার পত্নী বাণীকে সরস্বতী বলা হইয়াছে। বেদে সরস্বতীর যে দ্বিভাবেব পরিচয় পাওয়া যায়, পুরাণে এইভাবে তাহাদিগেব সামঞ্জস্ত রক্ষিত হইল। বৈদিক যুগে প্রতিমা বা সৃষ্টি হয় নাই। পাণিনিব আবির্ভাবে বা কাল খৃঃ পূঃ ৪ৰ্থ শতাব্দী ( কাহারও কাহারও মতে পাণিনির আবির্ভান-কাল আবও পূর্বে ) ধরিলে পাণিনির আবির্ভাবকাল বুদ্ধের আবির্ভালের পরে হয়। পাণিনিতে প্রতিকৃতি-সম্বন্ধে উল্লেখ আছে। পাতঞ্জলে কোনো কোনো দেবতাব মূৰ্ত্তি-সম্বন্ধে উল্লেখ পাওয়া যায়। ইহাতে বুঝা যায়, হিন্দুগণও প্রতিমা গড়িত; কিন্তু ভাস্কর-শিল্প বৌদ্ধগণের হস্তেই চৰম উন্নতি লাভ করিয়াছিল। স্তুপ, চৈত্য, বুদ্ধের নানারূপ মূৰ্ত্তি প্রভৃতিতে ভারতবর্ষেৰ এক প্রান্ত হইতে আর-এক প্ৰান্ত ছাইয়া ফেলিল। যখন খৃষ্টীয় ৪র্থ শতাব্দীর প্রথম ভাগে গুপ্তরাজগণের অত্যুদয় হয়, তৎকালীন খোদিত হিন্দু দেবদেবীর মূৰ্ত্তি এখন পাওয়া যায়। তাহার পূর্বের প্রায় 8 भङ ब९गठब्रन्न भएक्षा छिन् দেবদেবীর প্রতিমূৰ্ত্তিব निलशन (1२म७ किछू *ों९श शाश नाशे । V