পাতা:কবিকঙ্কণ-চণ্ডী (প্রথম ভাগ) - চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার ع/ • কবিগুরুর এই কথা শুনিয়া আমার আনন্দও হইল, ভয়ও হইল-কবিগুরুর সঙ্গে সাহিত্য আলোচনা ! আমি ভিয়ে ভয়ে মনকে সম্পূৰ্ণ সচেতন করিয়া আবার কবিকঙ্কণ পড়িতে আরম্ভ করিলাম,-প্ৰত্যেকটি শব্দকে প্রশ্ন করিতে লাগিলাম-কেন তাহা ঐ স্থলে ব্যবহৃত হইয়াছে, কেন তাহার রূপ ঐ প্রকার ? তখন দেখিলাম আমি কিছুই জানি না। সন্ধানে প্ৰবৃত্ত হইলাম । কিছুদিন পরে কবিগুরুর আহবানে সকল প্রকার মঙ্গল-কাব্য এক এক খানি সংগ্ৰহ করিয়া শান্তি-নিকেতনে গোলাম । গিয়া দেখিলাম আমার দুৰ্ভাগ্যক্রমে তিনি পীডিত হইয়া পড়িয়াছেন। সামান্যই আলোচনা করিবার সুযোগ ঘটিল। বেশীদিন অপেক্ষা কবিতে পারিলাম না। তিনি বলিলেনবইগুলি রাখিয়া যাও, আমি পড়িয়া আমার মন্তব্য পাবে তোমাকে জানাইব। অল্পদিন পরেই আমার বই গুলি ফেরত পাইলাম । বইগুলি নিজেদের মার্জিনে কবিগুরুর অমূল্য মন্তব্য বহন করিয়া আনি যাছে। তিনিই প্ৰথমে তঁাতার মন্তব্য দ্বাব! আমার মনে সন্দেহ উদ্রেক কবি যা দেন যে কবিকঙ্কণ বৈষ্ণব ছিলেন । এই তথ্য আমি পরে আন্তর ও বাহ্য বহু প্ৰমাণ দ্বারা প্ৰমাণ করিতে সক্ষম হইয়াছি বোধ হয় । কবিকঙ্কণ সম্বন্ধে জিজ্ঞাস্ত হইয়া একদিন আমার শিক্ষা গুরু পূজনীয় পণ্ডিত মহামহোপাধ্যান্য শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্ৰী মহাশযেব নিকটে গেলাম । তিনি আমাকে তাহার বাড়ী হইতে বিতাড়িত করিয়া দিলেন-কলিকাতা ইউনিভারসিটির সহিত যাহার সম্পর্ক আছে তাহার প্রতি তাহার এমনই বিরাগ । শাস্ত্রী মহাশয়ের নিকট হইতে বিতাড়িত হইয়া তাঁহারই প্রতিবাসী অধুনা স্বৰ্গগত আচাৰ্য্য রামেন্দ্ৰসুন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয়ের কাছে গেলাম। তখন তিনি খুব পীড়িত। তথাপি তিনি দুই তিন দিন আমাকে অনেক বিষয়ে উপদেশ ও সন্ধান দিয়াছিলেন । তার পর সর্ববিদ্যাবিশারদ আচাৰ্য শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্ৰনাথ শীল মহাশয়ের শরণাপন্ন হইলাম। তিনি স্বাভাবিক সৌজন্য ও অমায়িকতার বশে তঁহার আশ্চৰ্য্যজনক জ্ঞানভাণ্ডার আমার সম্মুখে উন্মুক্ত করিয়া দিলেন ; বাংলা