পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Þb" শিবনাথ-জীবনী । শ্ৰীকৃষ্ণ উদগত হইতে নবম পুরুষ পরে। শ্ৰীকৃষ্ণ উদগাতার পুত্ৰ রাজেন্দ্ৰ “ভট্টাচাৰ্য্য” উপাধি লাভ করেন। তখন হইতে “উদগাত|” উপাধির পরিবর্তে হঁহারা “ভট্টাচাৰ্য্য” নামেই পরিচিত হইয়া' আসিতেছেন। রাজেন্দ্রের পুত্র রামেশ্বর পণ্ডিত ছিলেন । তিনি পাণ্ডিত্যের জন্য বিদ্যালঙ্কার উপাধি লাভ করেন। লোকে তঁহাকে “খাউ বিদ্যালঙ্কার” বলিয়া ডাকিত । শিবনাথের প্রপিতামহ রামজয় ন্যায়ালঙ্কার রামেশ্বরের প্রপৌত্র রাধানাথ ভট্টাচাৰ্য্যের পুত্ৰ । শিবনাথের জন্মের বহু পূর্বে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমেও মজিলপুর গ্রামে শিবনাথের স্বগোত্রীয় ব্ৰাহ্মণদিগের মধ্যে ১০/১২ খানি টােল ও চতুষ্পাঠি ছিল। তন্মধ্যে শিবনাথের প্রপিতামহ রামজয় ন্যায়ালঙ্কারের একটা। জমিদার দত্তগণ শ্ৰীকৃষ্ণ উদগাতার বংশজ রামজয় ন্যায়ালঙ্কারকে কেবল কুলপুরোহিত জ্ঞানে নয়, তাহার পাণ্ডিত্যের জন্যও তঁহাকে অত্যন্ত ভক্তি ও সন্মান করিতেন । রামজয় ন্যায়ালঙ্কারের পুত্র রামকুমার ভট্টাচাৰ্য্য স্বগ্রামেই কােম্বায়ণ গোত্রীয় পদ-মান-কুল-শীলসম্পন্ন পরিবারে বিবাহ করেন। তাহার পত্নীর নাম লক্ষ্মী দেবী ছিল। ইনি নামে লক্ষ্মী দেবী ছিলেন বটে। কিন্তু অতি প্রতাপশালিনী তেজস্বিনী নারী ছিলেন। তাহার ভয়ে কেবল পরিবার পরিজন নয়, গ্রামের চাের ডাকাত পৰ্য্যন্ত কঁাপিত। তিনি দেখিতে গৌরাঙ্গী ও তন্বী ছিলেন, কিন্তু প্ৰচণ্ড ক্ৰোধন প্রকৃতি সম্পন্না ও কাৰ্য্যকুশলী ছিলেন। - ইহার পতি রামকুমার ভট্টাচাৰ্য্য দীর্যাবয়ব, শ্যামাঙ্গ, ধৰ্ম্মভীরু, দয়ালু ও শান্ত স্বভাব পুরুষ ছিলেন-পত্নীর ভয়ে সৰ্ব্বদাই সঙ্কুচিত হইয়া থাকিতেন। শিবনাথের পিতামহ পিতামহী সম্বন্ধে পরিবার মধ্যে অনেক গল্প