পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । “ Wy কিঙ্কর পেয়েছ ?” গোলোকমণি স্বামীর প্রকৃতি বিলক্ষণ জানিতেনঅনুরোধে কাজ হয় না, আজ্ঞা করিলে একেবারেই অসাধ্য। তিনি স্বামীর নিকট কাজ আদায় করিবাব অশেষ ফন্দী জানিতেন। প্রয়োজন হইলে, তার যুক্তিসূক্ত সুমিষ্ট বাক্য পরম্পরার অন্ত ছিল না। স্বামীকে বুঝাইয়া দিতেন যে তঁর ইচ্ছা মতই কাজ হইবে, কেবল ঔচিত্য ও যুক্তি প্ৰদৰ্শন করিতেন, আর র্তার বড় মনে বাজে এমন কথা বলিলেই তৎক্ষণাৎ কায্য সম্পন্ন হইত। বাহতঃ বোধ হইত স্বামীর ইচ্ছায় কাজ হইল, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ গোলকমণি। দেবীর অভিষ্ট পূর্ণ হইত। ঠাকুরমার কাৰ্য্যোদ্ধারের ফন্দী দেখিয়া সকলেই বিস্মিত হইতেন। অর্থব্যয সম্বন্ধে শিবনাথের পিতা মুক্তহস্ত ছিলেন, এবং কি ব্যয় করিয়াছেন, তাহা অনেক সময় হিসাব রাখিতেন না । গোলোকমণি দেবী তার বক্স হইতে মাঝে মাঝে টাকা সরাইতেন, তিনি বিন্দুবিসর্গ জানিতে পারিতেন না, কাজেই অর্থেব অনটন উপস্থিত হইতে, তখন স্ত্রীর নিকট অভাব জানাইতেন। ঠাকুরমা সহানুভূতি দেখাইযা বলিতেন “পাড়াপাড়শীর নিকট সুদে টাকা ধার করিয়া দিতে পারি।” ঠাকুরদাদা শুনিয়া ইপি ছাড়িয়া বাচিতেন। তারপর পত্নী একবার পুকুর পাড়ে ঘুরিয়া আসিয়া নিজের বাক্স হইতে টাকা দিয়া যথাসময়ে সুন্দ সমেত টাকা আদায় করিতেন । আমার মায়ের নিকট এইসকল গল্প শুনিয়াছি। যখন ঠাকুরমা পুকুরপাড়ে ঘুরিয়া বাক্স হইতে টাকা বাহির করিতেন, মা দেখিয়া এক এক বড়ই হাসিতেন। ঠাকুরদাদার বাক্সের টাকা কি করিয়া কম পড়ে, তাহাও সৰ্ব্বদা দেখিতেন । ইহাদের দাম্পত্য কলহ শুনিয়া সকলে আমোদ পাইতেন বটে, কিন্তু ইহঁদের পক্ষে ইহা একটুও প্রহসনের ব্যাপার ছিল না। এইখানে একটি কৌতুক