পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। d বলিতেন “এক ঢ়িলে তোকে মেরে ফেলবো” । ঠাকুর মার বিশ্বাস ছিল তঁর ছেলে বড় বোকা-তিনি আবার বলিতেন “ও ছোট বেলা থেকে বড় বোকা, হঁ কালা, কেবল পদে পদে ঠকে আসত, ওর খাবার ফাকি দিয়ে অন্য ছেলে খেত, ওকে ফাকি দিয়ে, ভুলিয়ে গাছে চড়িয়ে অন্য ছেলে পালাত আর উনি গাছে বসে ধরা পড়তেন, তাড়া খেয়ে কঁদিতেন, বাড়ীতে এসে মার খেতেন-চির দিন বোকা-এক পড়ার সময় ছাড়া সকল বিষয়ে নিৰ্বোধি ছিলনিৰ্বোধি না হলে আর ব্ৰহ্মজ্ঞানী হয়েছে ?” বাল্যাবধি তন্ময়ত শিবনাপের প্রকৃতির এক বিশেষ লক্ষণ, যখন যাহা করিতেন তাহাতেই ডুবিতেন। বিশ্বব্ৰহ্মণ্ডের কোন কথা মনে থাকিস্ত না । যখন বালক ছিলেন এক মনে হয়ত পিপড়ার গতিবিধি বা পাখী দেখিতেছেন-পিতা চীৎকার করিয়া ডাকিতেছেন । কৰ্ণে যাইতেছে না, তিনি যখন আসিয়া গণ্ডে এক চপেটাঘাত করিতেন তখন চৈতন্য হইত। ডাকিলে শুনিতেন না বলিয়া ঠাকুরদাদা ভাবিলেন “ছেলে কালা”। কনের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজে ডাক্তার গুডিভ চক্ৰবৰ্ত্তীর কাছে লইয়া গিয়াছিলেন । তিনি বাবার পিছনে এক তোড়া চাবি ফেলিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “ছোকরা কিছু শুনলে কি ?” শিবনাথ বলিলেন “এক তোড়া চাবি পড়িল ।” তিনি হাসিয়া বলিলেন “কানে কিছু হয় নাই খুব ভাল শোনে।” তন্ময়তার জন্য শিবনাথকে অনেক নি গ্ৰহ সহিতে হইয়াছো-পিতা কানে না শুনিলে প্ৰহার করিতেন। এক দিন পথে যাইবার সময় গাছে একটা সুন্দর পাখী দেখিয়া এমনই তন্ময় হইয়া দেখিতেছিলেন যে হাতীর পায়ের তলায় প্ৰায় পড়িয়াছিলেন । এই তন্ময়তার জন্য কোলাহলের মধ্যে বসিয়াও নিমগ্ন হইয়া পাঠ