পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 শিবনাথ-জীবনী । কাৰ্ত্তিক মাসে উমেশচন্দ্র দত্ত প্রভৃতি ব্ৰাহ্মদিগের আর এক নিষ্ঠুর পরীক্ষা উপস্থিত হইল। উমেশচন্দ্রের বৃদ্ধ পিতামহী গীতাসু হইলেন। উমেশচন্দ্রের অগ্রজ অভয়চরণ ও উমেশচন্দ্ৰ ব্যতিত বাড়ীতে তখন ' আর কেহ ছিলেন না। কালীনাথও কঠিন পীড়ায় শয্যাগত। আত্মীয় স্বজনগণ একঘরে হইয়াছেন বলিয়া কেহ মৃতের সৎকার করিতে আসিলেন না। অগত্যা দুই ভাই শব্ব বহন করিয়া শ্মশানে উপস্থিত হইলেন। ভূত্যকে কাষ্ঠ এবং কুড়ালি লইয়া পশ্চাতে আসিতে বলিলেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিলেন-কাঠ আর পৌছায় না । তখন ভূত্য আসিয়া বলিল-বাবুদের হুকুম, কাঠ কুড়ালি লইয়া কেহ মৃতের সৎকারের সাহায্য করিতে পরিবে না। উমেশচন্দ্ৰ জ্যেষ্ঠকে অপেক্ষা করিতে বলিয়া থানার দারোগ নারায়ণদীনের নিকট উপস্থিত হইয়া বিপদের কথা জানাইলেন। দারোগা মহাশয় অত্যন্ত খাটি লোক ছিলেন। তিনি ক্ৰোধে অগ্নিবৰ্ণ হইয়া দত্ত বাবুদিগের কাছারিতে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন কাহার প্ররোচনায় উমেশচন্দ্রের প্রতি এই প্ৰকার অত্যাচার হইতেছে-এ সকল বে-আইনি কাজ কেহ করিলে সাজা পাইতে হইবে। সামান্য একজন দারোগার কথায় আশ্চৰ্য্য ফল ফলিল—‘অচিরে কাঠ কুড়ালি সকলই শ্মশানে উপস্থিত হইল। সেদিনকার মত উমেশচন্দ্ররা দুই ভাই পিতামহীর সৎকার করিয়া ঘরে ফিরিলেন বটে, কিন্তু র্তাহাদিগকে একঘরে হইয়াই গ্রামে বাস-করিতে হইল। অভয়চরণ এবং উমেশচন্দ্র মজিলপুরে বসিয়াই ব্ৰাহ্ম বন্ধুদিগকে লইয়া পিতামহীর আদ্যশ্ৰাদ্ধ সম্পন্ন করেন। । উমেশচন্দ্রের পিতামহ ষষ্ঠীচরণ দত্ত জমিদারদিগের নায়েবী করিতেন। একবার জমিদারবাবুদিগের কাছারী রক্ষা করিতে ।