পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়। Soy ভবানীপুরে থাকিব, বিশেষ প্রয়োজন ভিন্ন কলেজে আসিব না, একাগ্ৰ চিত্তে পাঠে মন দিব, এবং পরীক্ষার জন্য প্ৰস্তুত হইব । কলেজে না আসার জন্য আমার স্কলারসিপ যদি না কাটেন, তাহা হইলেই এইরূপ করিতে পারি। তৎপরে তিনি সমুদায় বিবরণ খুলিয়া লিখিয়া ডিরেক্টরের নিকট হইতে অনুমতি আনিলেন, এবং আমাকে ছুটী দিলেন। আমি যোগেন ও মহালক্ষ্মীর নিকট বিদায় লইয়া আমার শৈশবের আশ্রয়দাতা ভবানীপুবের মহেশচন্দ্ৰ চৌধুরী মহাশয়ের ভবনে গিয়া উপস্থিত হইলাম। তঁহাদের নিকট আড়াই মাসের জন্য একটি ঘর চাহিলাম, যে ঘরে আমি একাকী থাকিব । প্ৰাতে একািরার স্নান-আহারের সময় বাহিরে যাইতাম ও রাত্রে আহারের সময় আধা ঘণ্টার জন্য যাইতাম, নতুবা দিনরাত্রি ঐ ঘরে যাপন করিতাম। এই জাড়াই মাসেব মধ্যে শয্যাতে যাই নাই । বড় ঘুম পাইলে দুইচারি ঘণ্টা পুস্তক মাথায় দিয়া সেই ঘরে ঘুমাইতাম । * * * এইৰূপ পড়িতে পড়িতে শরীর মন সময় সময় বড় অবসন্ন হইত। তখন পড়া ফেলিয়া দিয়া বাহিরে যাইতে ইচ্ছা কবিত। সেই সময় যোগেন ও মহালক্ষ্মীর মুখ মনে করিয়া দুরন্ত প্ৰতিজ্ঞ আসিত । * * প্ৰাণ যাক আর থাক একবার মরণ বঁাচন চেষ্টা করিয়া দেখিতে হইবে। অমনি মনে প্রার্থনার উদয় হইত-“হে ঈশ্বর এই সংগ্রামে আমার সহায় হও”, তখন দিনের মধ্যে বহুবার প্রার্থনা করিতাম। লোকে যেমন শ্রমের মধ্যে বার বার চা খাইয়া সবল হয়, আমি তেমনি বার বার প্রার্থনা করিয়া সবল হইতাম।” এই অমানুষিক পরিশ্রমের ফলে শিবনাথ এক প্রকার পঙ্গু