পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারীদের নিকট উপস্থিত করেন । কিন্তু প্ৰসন্নময়ী যতই অশিক্ষিতা হউন না, নিজের খুটিতে শক্ত ছিলেন। ব্ৰাহ্মসমাজে আসিয়া জাতিবিচার নাই দেখিয়া প্ৰথম প্ৰথম তীর কি প্রকার কষ্ট হইত, তার বর্ণনা র্তার মুখেই শুনিয়াছি। তঁর বিশ্বাস ছিল যে অপর জাতির ভাত খাইলে, না জানি কি সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত হইবে, সে ভাত কি পেটে সহ্য হইবে ? হয়ত বা প্ৰাণই। যাইবে । অপর জাতির ভাত ব্ৰাহ্মণের উদর কখন বরদাস্ত করে না। এই তার দৃঢ় ধারণা ছিল। একটু গোময়ের জন্য কিরূপ লালায়িত হইতেন, স্বামীকে একটু “গোবর” আনিয়া দিবার জন্য সকাতরে অনুরোধ করিতেন-আমরা এসব গল্প শুনিয়া কতই না হাসিয়াছি ; কিন্তু বাস্তবিক ব্ৰাহ্মসমাজে আসিয়া প্ৰথম প্ৰথম প্ৰসন্নময়ীর দিন বড় কষ্টেই গিয়াছে, তার ফলে তঁাব শরীর একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছিল। হইয়া পড়েন। প্ৰসন্নময়ীকে শিক্ষিতা করিবার উৎসাহও দ্বার্তাহার অল্প ছিল না। প্ৰসন্নময়ীকে পড়াইবার জন্য একজন মেমকে নিযুক্ত করা হইল। সেই মেম প্ৰসন্নময়ীকে লেখা পড়া শিক্ষা দেওয়া অপেক্ষা গ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম শিক্ষা দিতে অধিক উৎসাহী ছিলেন । তিনি আদি পিতামাতা আদম ও হবার গল্প প্ৰসন্নময়ীকে তঁর সেই অপূৰ্ব্ব বাঙ্গলায় বিবৃত করিয়া বলিতেন। দুঃখের বিষয় প্ৰসন্নময়ী তার কথার মৰ্ম্ম বুঝিতেন। না, মেমের প্রকাণ্ড কুকুর ও তার রক্তমুখ দেখিয়া তীয় । অন্তরাত্মা শুখাইয়া যাইত, কোন পড়াই ভাল করিয়া বলিতে পারিতেন না । মেম একদিন জিজ্ঞাসা করিলেন, “নেী, শালিখ