পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়। R অন্নপ্রাশনের আয়োজন দেখিয়া বলিয়াছিলেন, “এই আমার ছেলের ভাত ! এত খোকার শ্ৰাদ্ধ!” আশ্রমে প্ৰতিদিন ৯টা হইতে ১২টা পৰ্য্যন্ত পারিবারিক উপাসনা হইত। কেশবচন্দ্রের দৈনিক উপাসনায় যোগ দেওয়া ব্ৰাহ্মদিগের এক প্রলোভনের বিষয় ছিল ; কিন্তু জননী প্ৰসন্নময়ী তিনটী শিশুকে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলিয়া তিন ঘণ্টা উপাসনায় বসিতে অস্থির হইয়া পড়িতেন । উপাসনার পর উঠিযা দেখিতেন। কন্যা তুলী এক একদিন বিভ্ৰাট ঘটাইয়া বসিয়া BBDDS S BBBBDD BDBDBDS S DDDD DBBB SBSuBDB DDD উপাসনায় যাবে না, কোন দিন দেখব। একটা মাথা ফাটাইয়া মরিয়া আছে”-কথাটা কান্তিবাবুর কানো গেল যে হেমের মা আর উপাসনায় আসিবেন না, তিনি অমনি প্ৰসন্নময়ীর দ্বারে আসিয়া উপস্থিত । “হেমের মা তুমি উপাসনায় যাও নাই কেন ?” উত্তর-“কি করে যাই বলুন, ছেলেমেয়েগুলো কি মাথা ভেঙ্গে মারা যাবে ? তাদের দেখবার যে কেউ নেই!” কান্তিবাবু-সেকি কথা হেমের মা ! অবিশ্বাসের কথা বলতে আছে কি, স্বয়ং ভগবান তোমার ছেলে মেয়েদের দেখছেন তা কি তুমি সন্দেহ করা ? উত্তর-কত ভগবান দেখেন ? সেদিন ত তুলী পড়ে গিয়েছিল, ভগবান কি ছেলে ধরেন ? কাস্তিবাবু প্ৰসন্নময়ীর পায়ে পড়িলেন, “তোমার পায়ে ধরছি উপাসনায় চল।” প্ৰসন্নময়ী উপাসনায় গেলেন। অবশ্য তুলী পড়িয়া মরে নাই। প্ৰসন্নময়ী আশ্রমের ব্ৰাহ্মদিগকে দেবতা বলিয়া ভাবিতেন। বিশেষতঃ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর প্রতি