পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8. শিবনাথ-জীবনী । অনৈক্য চলিয়া আসিতেছিল, কিন্তু কেশবচন্দ্রের প্রতি আন্তরিক টান শিথিল হয় নাই। একথার সাক্ষ্য দিবার জন্য আমি ১৮৭৫ সালের মার্চ মাসের “সমদৰ্শী” হইতে কয়েক পংক্তি উদ্ধৃত করিয়া দেখাইতেছি। যখন “সমাদশীতে” শিবনাথ কেশবচন্দ্রের অনেক মতের প্রতিবাদ করিতেন, তখনও তার সম্বন্ধে কিরূপ ভাব হৃদয়ে পোষণ করিতেন, পাঠকগণ একবাব দেখুন। “ধৰ্ম্মপ্রচারক।” নামক প্ৰস্তাবের একস্থানে শিবনাথ লিখিয়াছেন :- “প্ৰচাবক-জীবনই ব্রাহ্মের শ্রেষ্ঠ জীবন, ক্রমেই এই সংস্কার ব্ৰাহ্মদিগের মনে দৃঢ়রপে বদ্ধ হইতেছে। ইহাতে একমাত্র তাহার মতে কিরূপে সমুদায় সমাজের মত পরিবৰ্ত্তিত করিতেছে, ভাবিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়। একটু গভীর ভাবে আলোচনা কবিলেই ব্ৰাহ্মসমাজের অস্থি মজ্জার মধ্যে তারই জীবন ও দৃষ্টান্ত দেখিতে পাওয়া যায়। ব্ৰাহ্মীদিগের মিতাচার, ব্ৰাহ্মীদিগের উৎসাহ, ব্ৰাহ্মদিগের সচ্চরিত্রতা, অনুসন্ধান করিলে হঁহার অধিকাংশেরই মূলে বাবু কেশবচন্দ্ৰ সেনকে দেখিতে পাই । ব্ৰাহ্মসমাজের সৌভাগ্যের বিষয় যে ইহার শৈশবাবস্থায় তঁর ন্যায় ব্যক্তির হস্তে নেতৃত্বভার পড়িয়াছে।” এই প্ৰবন্ধের ভিতর কেশবচন্দ্রের প্রতি শিবনাথের হৃদগত ভাবটী সুন্দর প্রকাশ পাইয়াছে। * শিবনাথ ভাবানীপুরে সাউথ সুবন্ধুবন বিদ্যালয়ের কাজ লইয়া আসিয়া যখন বসিলেন তখন ব্ৰাহ্মীগণের ভিতর স্বাধীন-চিন্তা অত্যন্ত জাগ্ৰত। তারা ব্ৰাহ্মসমাজ মধ্যে প্রতিনিধিসভা স্থাপনের চেষ্টা করিতেছিলেন ; এবং ভারতবর্ষীয় ব্ৰহ্মমন্দিরটি ট্রাষ্টদিগের হন্তে অৰ্পণ করিবার চেষ্টাও চলিতেছিল। এই উভয়বিধ চেষ্টার