পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় । Σ0 Σ ফোয়ারা খুলিয়া গেল। কেহ কাহাকেও হারাইতে পারেন না। লোকের হাসিতে হাসিতে প্ৰাণান্ত হইবার উপক্রম হইল । রাত্রি ২টার পূর্বে এই গল্পের মজলিস ভাঙ্গিল না । কিন্তু শিবনাথের পক্ষে এই ঘটনা বড় গুরুতর হইয়া দাড়াইল। কলিকাতায় আসিয়াই জ্ববে পড়িলেন এবং কাশির সঙ্গে রক্ত উঠিতে আরম্ভ করিল। ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার বলিলেন, ক্ষয়কাশের সূত্ৰপাত। শিবনাথ নিজের শরীরের অবস্থা দেখিয়া ভীত হইলেন। ভাবিলেন এ যাত্ৰা আর বঁাচিবেন না । দেশে মাতাপিতার নিকট সংবাদ পাঠাইলেন । শিবনাথের পিতা হরানন্দ শৰ্ম্ম বহু বর্ষ পুত্রের মুখ দর্শন করেন নাই ; কিন্তু ছেলের জীবন সঙ্কট এ সংবাদ পাইযা আব্ব স্থির থাকিতে পারিলেন না । ছেলেন চিকিৎসার জন্য গোলোকমণি নিজেব গহনা বন্ধক দিয়া অর্থ সংগ্ৰহ করিয়া কলিকাতায্য আসিয়া উপস্থিত হইলেন । গোলোকমণি পাগলের মত ছেলের রোগশয্যা পাশ্বে আসিয়া ছেলের চেহারা দেখিযা কাদিতে লাগিলেন। হরানন্দ গাড়ী হইতে নামিয়াই কবিরাজ ডাকিতে গেলেন। কবিরাজ বাড়ীর ভিতর শিববাথকে দেখিতে আসিলেন, তিনি বাড়ীতে প্ৰবেশ করিলেন না । বাড়ীর নিকটে এক দোকানে বসিয়া রহিলেন । কবিরাজ শিবনাথকে দেখিয়া যখন বাহিরে আসিলেন র্তার মুখে ছেলেব রোগের অবস্থা শুনিলেন। কবিরাজ বলিলেন, “শিবনাথের পীড়া কঠিন, বহু চিকিৎসার আবশ্যক।” BBBBi BDDS SDDD DDD DDu DBDBD zBDB BB DD পুত্ৰবধু বিরাজমোহিনীকে লইয়া বাস করিতে লাগিলেন। সে যাত্রা গোলোকমণির যত্নে ও সেবায় শিবনাথ সারিয়া উঠিলেন।