পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় । S(to

  • * * আশা ছিল বন্ধুগণ সনে করিব ব্রহ্মের পূজা, উদ্যানে কাননে গিরিপৃষ্ঠে নদীতটে ; কিন্তু সে বাসনা,

সে বাসনা হয় মোর সফল হোলো না ! আমার ফুলের ডালা অকালে আঁধার করি।” কাল তুলে নিল ফুলটী আমার। তখন আমি ত নিজ আঁখিরে বুঝায়ে রেখে ছিনু, অশ্রু মোব রাখিনু লুকায়ে, কিন্তু প্ৰাণে বড় ব্যাথা পেয়েছি মুঙ্গেরে। হায় ! হায্য ! কারে বলি ? আমার প্রাণের কি যে প্রিয় কন্যাগুলি ! বর্ণি” তা কেমনে ? সুখে ভাসি, দেখে হাসি তাদের বদনে । বহুপাপ, বহুকষ্ট, আমাব সংসারে, বহু অনুতাপ, তাই ঈশ্বর আমারে, ভুলাইতে নিষ্কলঙ্ক, প্ৰসন্ন, সরল, সঙ্গীগুলি চারিদিকে দিলেন ঘেরিয়া । হারাব সে ধনে আমি এমন করিয়া কে জানিত ? চারি দন্তে, আধ্য আধ্য হাসি, আধা ভাষা, বর্ণে বর্ণে যেন সুধারাশি, কে জানিত “সরোজিনী” এমন মৃণালে বাধা ছিল, কাল যাহা ছিড়িবে অকালে । এই প্রকারে মুঙ্গেরে পদাৰ্পণ করিয়াই আদরের ধন “সরোজিনীকে” হারাইলেন। কিছুদিন পরে পুত্র প্রিয়নাথও ছাদ হইতে পড়িয়া