পাতা:আত্মকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিপন্ন করিয়া গন্তপন্তময় প্রবন্ধ সকল বাহির হইত। সে श्रभूदृश्र्द्र आॉक्षक’९* আমি লিখিতাম। তম্ভিন্ন ‘সুলভ সমাচার’ নামক এক পয়সা মূল্যের যে, সংবাদপত্র বাহির হইয়াছিল, তাহাতেও লিখিতাম । এই সময়ে কেশববাবু পুরাতন সোসাইটি অব থাইষ্টিক ফ্রে ওস-কে পুনরুজ্জীবিত করেন, তাহাতে আমাকে বস্তৃতা করিতে বলেন । তদনুসারে আমি ইংরাজীতে এক বক্তৃতা করি, কেশববাবু সভাপতি ছিলেন। সে বক্তৃতার দিনের অন্তকথা অধিক মনে নাই। এইমাত্র আছে, আমেরিকার ইউনিটেরিয়ান মিশনারী সুপ্রসিদ্ধ ড্যাল সাহেব সেদিনকার সভাতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আপনাকে ব্রাহ্ম ফলোয়ার অব ক্রাইষ্ট বলিয়া ঘোষণা করিলেন । এই ইণ্ডিয়ান রিফরম এ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ হইতে কেশব বাৰু আর একটি কাজ করিয়াছিলেন। তিনি এক মুদ্রিত পত্র দ্বারা দেশে বা প্রসিদ্ধ ডাক্তারগণের নিকট হইতে, এদেশীয় বালিকাগণের বিবাহের উপযুক্ত কাল কি, তাহা জানিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তদুত্তরে অধিকাংশ স্বদেশীয় ও বিদেশীয় ডাক্তার ১৬ বৎসরের উদ্ধেৰ সেই কালকে নির্দেশ করেন। কেবল ডাক্তার চার্লস চতুর্দশ ६८५ श्f• । प्रभ বলিয়া নির্দেশ করেন । তদনুসারে ১৮৭২ সালের তিন আইনে চতুদশ বর্ষকে বালিকার সর্বনিম্ন বিবাহের বয়স বলিয়া নির্দেশ করা হয়। তিন আইনের এই আন্দোলনে আমরা সকলেই তেঁাহার সহায়তা করিয়াছিলাম । এই সময়েই বা ইহার কিঞ্চিৎ পূর্বে বা পরে আদি সমাজের ভূতপূর্ব সভাপতি ভক্তিভাজন রাজনারায়ণ বসু মহাশয় 'হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত’ বিষয়ে একটি বক্তৃতা করেন । ‘ফ্রেণ্ড অব ইণ্ডিয়া’র তদানীন্তন সম্পাদক ও বিলাতের টাইমস পত্রিকার পত্রপ্রেরক জেমস রূটলেজ সাহেব তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ টাইমস পত্রিকাতে প্রেরণ করেন। তাহার ফলস্বরূপ এদেশে ও সেদেশে সেই বক্তৃতা সম্বন্ধে চর্চা উপস্থিত হয়। সেই বক্তৃতাতে রাজনারায়ণবাবু ব্রাহ্মধর্মকে উন্নত হিন্দুধর্ম বলিয়া প্রতিপাদন করেন। উন্নতিশীল দল এ মতের বিরোধী ছিলেন। কেশববাবু আমাকে ও পণ্ডিত গৌরগোবিন্দ রায়কে এই বিষয়ে দুইটি প্রবন্ধ লিখিয়া পড়িতে আদেশ করেন। তদনুসারে আমি ইংরাজীতে ও গৌরবাবু বাংলাতে প্রবন্ধ লিখিয়া পাঠ করি । কেশববাবু সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। কেশবচন্দ্রের ভারত আশ্রম। এই সময়কার সাবপ্রথম কার্য 'ভারত আশ্রয়” স্থাপন । কেশববাবু ইংলণ্ড ইংরাজদের গৃহকর্ম দেখিয়া চমৎকৃত হইয়া আসিয়াছিলেন - ) \o