পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ অধ্যায়। SCG সম্ভব। সেই দিন ব্ৰহ্মমন্দিরে মানবচিত্তে বিধাতার লীলা প্ৰত্যক্ষ করিয়াছি। মহর্ষিদেব চলিয়া গেলেন-অ্যাজ সকলের হৃদয় পরিপূর্ণ, প্ৰাণ বিগলিত-এমন সময় শিবনাথ তার অনুষ্ঠিত সেবাযজ্ঞে জীবনাহুতি দিবার জন্য অগ্নিময় ভাষায় সকলকে আহবান করিলেন । এই বৎসরে শিবনাথ যে নগর সংঙ্কীৰ্ত্তন রচনা করিয়াছিলেন সেই সঙ্গীতের ভিতর এমন একটা অগ্নি ছিল যে, ১০ই মাঘ হইতে সেই গান গাহিতে গাহিতে লোকের প্রাণে এক অপূৰ্ব্বভাবের উদয় হইল। আজও মন্দিরে সেই সঙ্গীতটি গীত হইল। গানটী এই :- আজি শোনরে, শোনরে তঁর বাণী এমনি মধুর আহবান, মৃতদেহে জাগেরে প্রাণ ছিন্ন হয় সংসার বন্ধন রে । সে বাণীর বর্ণে বর্ণে, সুধারাস স্পর্শে কর্ণে কাটে মোহ নিদ্রার স্বপন রে । সে বাণী পবশ পেযে, নর নারী আসে। ধেয়ে সাপিবারে জীবন যৌবন রে। বিষয় বাসনা ফেলি, সুখ স্বাৰ্থ পায়ে ঠেলি ধায় তারা মত্তের মতন রে । শুনি সে মধুর বাণী ভব সুখে তুচ্ছ মানি এস তবে এস ভক্ত জন রে ; বিশ্বাস অনল জালি বৈরাগ্য আহুতি ঢালি সেবা যজ্ঞেয় কয় আয়োজন রে । শিবনাথ বলিলেন “জীবন দান কর ব্ৰহ্মচরণে, তবেই ব্ৰাহ্ম