পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৪ শিবনাথ-জীবনী । ) লক্ষ্য করিতে লাগিলেন, তখন শিবনাথ সৰ্ব্বাগ্রে তাহা পরিবর্তিত করিবার জন্য ব্যাকুল হইলেন। ইংলণ্ড হইতে আসিয়াই তিনি নিয়মতন্ত্ৰ-প্ৰণালীর দোষসকল হাড়ে হাড়ে বুঝিতে পারিলেন, সংশোধন করা নিতান্ত প্রয়োজন বুঝিয়াও যখন প্ৰতিকার করিতে পারিলেন না, তখন সাধনাশ্রম প্রতিষ্ঠা করিয়া ব্যক্তিগত জীবনে ধৰ্ম্মভােব প্ৰবল করিবার জন্য বদ্ধ-পরিকর হইলেন। গুরু গৌরবলালসায় শিবনাথ সাধনাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন নাই । হৃদয়ে দারুণ অতৃপ্তি। মৎস্য যেমন জল না পাইলে ছটফট করে, শিবনাথের পিপাসু হৃদয়, চারিদিকে ধৰ্ম্মভাবের শুষ্কতা অনুভব করিয়া “ত্ৰাহি” “ত্ৰাহি” ডাক ছাড়িল। কিন্তু কি পরিতাপ, তার প্রাণে জীবনের শেষ দিন পৰ্য্যন্ত পূর্ণ মাত্রায় অতৃপ্তি ছিল। শুধু অতৃপ্তি কেন- আপনাকে সকল অকল্যাণের মূল কারণ বিবেচনা করিয়া । হৃদয়ে দারুণ জ্বালা অনুভব করিতেন । এই অনুশোচনা ও হাহাকার ডায়েরির পৃষ্ঠায়! পৃষ্ঠায়! আমি পিতৃদেবের জীবন বৃত্তান্ত লিখিতে বসিয়া সত্য গোপন করিয়া যাইতে পারি না। শিবনাথ জীবনে যখন যাহা শ্ৰেয়ঃ বলিয়া বুঝিয়াছেন, তখনই তাহা কার্ঘ্যে পরিণত করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়াছেন। নিয়মতন্ত্ৰ-প্ৰণালী সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ব্যবস্থা একথা যখন বুঝিলেন, প্রাণপাত করিয়া তাহা প্রতিষ্ঠিত করিলেন। সেই প্ৰণালীর কিছু কিছু ধৰ্ম্ম । সমাজের সকল কাৰ্য্যে সহায় নহে, একথা যখন বুঝিলেন তখন । তিনিই চীৎকার করিয়া উঠিলেন—বলিলেন বড় ভূল হইয়াছে, করিয়া গঠন কর। আর তখন ক্ষেই বা তাহা শ্ৰবণ করে? ভবিষ্যৎ বাণীয়েরা বিচার করিবেন, শিবনাথের এই পুনর্গঠনের