পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str8 শিবনাথ-জীবনী । পিতার জন্য যত না করে, সুবর্ণপ্ৰভা এবং তঁাহার কনিষ্ঠ ভগিনী লাবণ্যপ্ৰভা শিবনাথের জন্য তার অধিক করিতেন । শিবনাথের কোন প্রকার অভাব ইহাদের যত্নে অপূর্ণ থাকিত না । জীবনের শেষ দিন পৰ্য্যন্ত সুবর্ণপ্ৰভা শিবনাথের জন্য নানাবিধ ফল ও সুপথ্য জোগাইয়া আসিয়াছেন। এক না ফুরাইতে আবার আসিয়া উপস্থিত! আনন্দমোহন বসু মহাশয়ের পুত্রকন্যাগুলি শিবনাথের পরম আদরের ছিল । ডায়েরিতে কত স্থানে তাদের কথা কত লিখিয়াছেন । লাবণ্যপ্রভার উপর তার হৃদয়ের যে অকৃত্রিম স্নেহ ছিল তাহা অতুলনীয়। ডায়েরিতে একস্থানে লিখিতেছেন :- “লাবণ্যপ্রভার ঋণ কি কখনও শুধিতে পারিব ? আমাকে L0BSBDBSYBB0D LDBBDDBB DDD S DDD SDBE D STS0YY আর কাহাকেও বাসি নাই । * * * প্ৰায় ২,৪২৫ বৎসর পূর্বে লাবণ্যকে প্রথম দেখি। তৎপরে ১৮৮৭ হইতে বিশেষ সম্পর্ক হইয়াছে, তদবধি ছায়ার ন্যায় আমার সঙ্গে সঙ্গেই আছেন, ছায়ার ন্যায় সঙ্গিনী, বন্ধুর ন্যায় হিতকারিণী, শিষ্যার ন্যায় অনুগামিনী আছেন । হায়! আমি লাবণ্যের প্রতি সমুচিত ব্যবহার করিতে পারি না ।” বাস্তবিক লাবণ্যপ্ৰভা পিতার ন্যায়, গুবৰ্ণর ন্যায় শিবনাথকে ভক্তি করিতেন । তারই বিশেষ অনুরোধে শিবনাথ “আত্মজীবনী” লিখিতে আরম্ভ করেন । ঘটনার দিক দিয়া মানুষের জীবন দেখিলে-তঁার ভিতরের অর্থ বোঝা যায় না । মানুষের জীবনের ভালবাসার অবলম্বন কি তাহাও বুঝিতে হয়-মানব জীবনের ইহাই হইল প্রকৃত অর্থ, গুঢ় তাৎপৰ্য্য! শিবনাথের আত্মজীবনীখানি বাঙ্গােলাভাষার এক সম্পদ, লাবণ্যপ্ৰভাৱ নিৰ্ব্বন্ধতিশয় ব্যতিরেকে এ রত্ন বাহির হইত।