পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও নিজেই যাতায়াত করতে পারবে, মাস কাবারে কিনে দেব একটা মাসিক টিকিট। বিধান অবজ্ঞার সুরে বলিল, যা তুমি খালি ভাব।-- আমাব চেয়ে কত ছোট ছেলে একলা ট্রামে চেপে স্কুলে যায়। আমি যেখানে খুসি যেতে পারি মা,-যাইনি ভাবিছ ? ট্রামে ক'দিন গেছি। চিড়িয়াখানায় চলে । শ্যামা স্তম্ভিত হইয়া বলিল, স্কুল পালিয়ে একলাটি তুই চিড়িয়াখানায় যাস খোকা । বিধান বলিল, রোজ নাকি ? একদিন দু'দিন গেছি মোটে -কুল পালাইনি তো। প্ৰথম ঘণ্টা ক্লাশ হয়ে কদিন আমাদের ছুটি হয়ে যায়, ক্লাশের একটা গেলে মবে গেলে আমবা বৃঝি স্কুল ক'র ? এমনি হৈ-চৈ করি যে, হেডমাষ্টার ছুটি দিযে দেয়। প্ৰথম প্রথম শতলের জন্য বকুল কঁাপিত। দোতলার ঘরখানা শ্যাম তাতাদের শয়নকক্ষ করিয়াছে, দামি জিনিসপত্রেব বাক্স প্যাটরা, বাড়তি বাসনকোসনও ওই ঘরে থাকে, সকালে বিকালে ওঘরে কেহ থাকে না, শুধু বকুল আপন মনে পুতুল খেলা করে। পুতুল খেলিতে খেলিতে বাবার জন্য নি:শব্দে সে কাদিত, মনের মানুষকে না দেখইয়া অতটুকু LDDBS BDSrKKDB BDS DDDD DDDGBBB BSBB DDO DBBBBBD জানে। কোন কাজে উপশে গিয়া শ্যামা দেখিত মুখ বাকাইয়া চোখের জলে ভাসিতে ভাসিতে বকুল তাহার পুতুল-পবিবারটিকে খাওযাইতে বসাইয়াছে। মেয়ে কার জন্ত কঁাদে, শ্যামা বুঝিতে পাবিত, এ বাড়িতে সেই জেলের কয়েদীটোকে ও ছা ৬ আর তো কেহ কোনদিন ভালবাসে নাই। মেয়েকে ভুলাইতে গিয়া শ্যামারও কান্না আসিত । মেষেকে কে‘লে কাপ য়া পুরাণো বাড়ির ছাদে নূতন ঘরে বকুলকে দেখালে ঠেস দিয়া শ্যামা বাসিত, বুজিত চোখ । KKLL S KLD KS BDLBD S BDBDB L0LD DB gEO কত কম, তাই সম্পন্ন করতে সে কি অবসন্ন হইয়া পড়ে ? শীতলেপ জেলে যাইতে যাইতে শীত কমিয়া আসিতে আরম্ভ কবিয়াছিল, শীতলের জেলে যাওয়াটা অভ্যাস হইয়া আসিতে আসিতে শহরতলী যেন বসন্তের সাডা পাইয়াছে। ধানকলের চােঙাটার কুণ্ডলী-পাকানো ধোঁয়া উত্তরে উড়িয়া যায়, মধ্যাহ্নে যে মৃদু উষ্ণতা অনুভূত হয়, তাহা যেন যৌবনের স্মৃতি। শ্যামার কি কোনদিন যৌবন ছিল ? কি করিয়া সে চারটি সন্তানের জননী হইয়াছে, শ্যামার তো তা মনে নাই! আজ সে দারুণ বিপন্ন, স্বামী তার জেল খাটিতেছে, উপাজ নশীল পুরুষের আশ্রয় তাহার নাই, ভবিষ্যত তাহার অন্ধকার, শহরতলীতে বন উপবনের বসন্ত আসিলেও জীবনে কবে তাহার যৌবন ছিল, তা কি শ্যামার মনে পড়া উচিত ? কি অবান্তর তার বর্তমান জীবনে এই বিচিত্র চিন্তা ? মুমুধুর কাছে যে নামকৗতন হয়, এ যেন उांद्रशे रक्षा झाषक्ष ठांळ व्लभ মান খুজিয়া বেড়ানো। न नौ J) জেলের কয়েদী বাপের জন্য যে মেয়ের চোখের জল তাকে কোলে করিয়া স্বামীর বিরহে সকাতর হওয়া কতব্য কাজ, কিন্তু জননী শু্যাম, তুমি আবার ছেলে চাও, শুনিলে দেবতারা হাসিকেেন যে, মানুষ যে ছি ছিা করিবে । মামা বলে, এইবার উপাজনের চেষ্টা সুরু করি শ্যামা, কি বলিস ? শ্যামা বলে, কি চেষ্টা করবে ? মামা রহস্যময় হাসি হাসিয়া বলে, দেখ না কি করি । কলকাতায় উপাজনের ভাবনা ! পথে ঘাটে পয়সা ছড়ানো আছে, কুড়িয়ে নিলেই হ'ল। একটা দুটো ক’রে নোটগুলো বদলানো আরম্ভ করলে छ् ना ? তুই ভারি ব্যস্তবাগীশ শ্যামা ! থাক না, নোট কি পালাচ্ছে ? সংসার তোর অচলও তো হয়নি বাপু এখনো । হয়নি, হতে আর দেরি কত ? সে যখন হবে, দেখা যাবে তখন,-“এখন থেকে ভেবে মরিস কেন ? মামার সম্বন্ধে শ্যামা একটু হতাশ হইয়াছে। মামার অভিজ্ঞতা প্রচুর, বুদ্ধও চোখা, কিন্তু স্বভাবটি ফাকিবাজ। মুখে মামা যত বলে, কাজে হয়ত তাব খানিকটা করিতে পারে, কিন্তু কিছু না করাই তাহার অভ্যাস। কোন ? বিষয়ে মামার নিয়ম নাই, শৃঙ্খলা নাই। পপতির মধ্যে ম'মা হঁপাইয়া ওঠে। গা লা গাইয়া কোন কাজ করা মামার অসাধ্য, আরম্ভ করে যা ছাডিয়া দেয় ৷ নকুড়বার ইনসিওপেন্স বেচিয়া খান, তঁাকে বলিয়া কহিয়া শ্যামা মামাকে একটা এজেন্সী দিয়াছিল, মামাবও প্রথমটা খুব উৎসাহ দেখা গিয়াছিল, কিন্তু দু'দিন দু'একজন লোকের কাছে যাতায়াত কারিয়াই মামার ধৈর্য ভাঙিথা গেল, ব’লল, এতে কিছু হবে না। শ্যামা, আমাদের সঙ্গে সঙ্গে টাকার দরকার, লোককে ভজিয়ে ভাজিয়ে ইনসিওর কবিয়ে পয়সার মুখ দেখা দুদিনের কৰ্ম্ম নয় বাপু, আমার ওসব পোষাবে না । দোকান দেব একটা । শ্যামা বলিল, দোকান দেবার টাকা কই মামা ? মামা রহস্যময় হাঁসি হাসিয়া বলিল, থাম না তুই, দেখ না। আমি কি করি । শ্যামা সন্দিগ্ধ হইয়া বলিল, আমার সে হাজার টাকায় যেন হাত দি ও না মামা । মামা বলি, ক্ষেপেছিল শ্যামা, তোর সে টাকা তেমনি পুলিন্দে করা আছে। সকালে উঠিয়া মামা কোথায় চলিয়া যায়, শ্যামা ভাবে রোজগারের সন্ধানে বাহির হইয়াছে। শহরে গিয়া মামা এদিক ওদিক ঘোরে, কোথাও ভিড় দেখিলে দ ডুয়, সংএর মত বেশ করিয়া আধা ঘণ্টা ধরিয়া দুটি একটি সহজ ম্যাজিক দেখাইয়া যাহারা অষ্টধাতুর মাদুলি, বিষ তাড়ানো ভূত