পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AR শঙ্কর বলিল, ক্রিকেট খেলতে এসেছি মাসিম, এখানকার স্কুলের সঙ্গে আমাদের স্কুলের ম্যাচ । শ্যামা, বিধান, মণি সকলেই শঙ্করকে দেখিয়া খুসি হইয়াছে। অভিমান করিয়াছে বকুল। পূজোর সময় আসব বলে এখন বাবু এলেন, বলিয়া সে মুখ ভার করিয়া আছে। কবে শঙ্কর বকুলের কাছে প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছিল পুজোর সময় সে বনগা আসিবে সে খবর কেহ রাখিত না, বকুলের কথায় বড়রা হাসে, শঙ্কর শু্যামার দিকে চাহিয়া সলজ্জা ভাবে কৈফিয়ৎ দিয়া বলে, পুজোর সময় মধুপুরে গেলাম যে আমরা -তোকে চিঠি লিখিনি বিধান সেখান থেকে ? বকুল অর্ধেক ক্ষমা করিয়া বলে, তোমার জিনিসপত্র कछे ? শঙ্কর বলে, বোর্ডিংএ আমাদের থাকতে দিয়েছে, সেখানে রেখেছি। বকুল বলে, বোর্ডিং কি জন্যে, আমাদের বাড়ি থাক न ? শঙ্কর মুখ নিচু করিয়া একটু হাসে। শ্যামা তাকায় মন্দার দিকে । শঙ্করকে এখানে থাকার নিমন্ত্রণ জানায় কিন্তু সুপ্ৰভা ৷ প্ৰথমে শঙ্কর রাজি হয় না, ভদ্রতার ফাকা ওজর করে কলিকাতার ছেলে সো, ওসব কায়দা তার দুরন্ত । শেষে সুপ্ৰভার হাসি ও মিষ্টি কথার কাছে পরাজয় মানিয়া সে আতিথ্য স্বীকার করে। লজ্জায় যে আবরণটি লইয়া সে এ-বাড়িতে ঢুকিয়াছিল ক্ৰমে ক্রমে তাহা খসিয়া যায়, কানু ও কালুর সঙ্গে তাহার ভাব হয়, বিধানের পড়ার ঘরে খানিক হৈ-চৈ করিয়া উঠানে তাহারা মার্বেল খেলে, তারপর স্কুলের বেলা হইলে সকলে মান করিতে যায় পুকুরে । শ্যাম বারণ করিয়া বলে, সাতার জান না, তুমি পুকুরে যেও না। শঙ্কর। জল তুলে এনে দিক, তুমি ঘরে স্নান কর। শঙ্কর বলিয়া যায়, বেশি জলে যাব না মাসিমা । তবু শ্যামার বড় ভয় করে । বিধান, বকুল, মণি এর সাতার শিখিয়াছে, কালু ও কানু তো পাকা সাঁতারু, পুকুরের জল তোলপাড় করিয়া ওরা আন করিবে ; উৎসাহের মাথায় শঙ্করের কি খেয়াল থাকিবে সে সাতার জানে না ? বাড়ির একজন চাকরকে সে পুকুরে পাঠাইয়া দেয়। খানিক পরে হৈ চৈ করিতে করিতে সকলে ফিরিয়া আসে, শঙ্কর আসে বিধান ও চাকরিটার গায়ে ভর দিয়া এক পায়ে খোড়াইতে খোড়াইতে । শামুকে না কিসে শঙ্করের পা কাটিয়া দরদর করিয়া রক্ত পড়িতেছে। বকুল দুরন্ত দুঃসাহসী মেয়ে, বকিলে, মারিলে, ব্যথা পাইলে সে কঁদে না কিন্তু রক্ত দেখিলে সে ভয় পায়, pa মানিক-গ্ৰন্থাবলী DDDD D LLLK DBiuD YBDBB K E BY হাউ হাউ করিয়া কঁাদিতে থাকে। মন্দা ধমক দিয়া বলে, তোর পা কেটেছে নাকি.. অত কঁাদছিস কি জন্যে ? কেঁদে মেয়ে একেবারে ভাসিয়ে দিলেন ! শঙ্কর বলে, কেঁদো না বুকু, বেশি কাটেনি তো । আগে বিধান হয়ত শঙ্করের জন্য অনায়াসে সাতদিন স্কুল কামাই করিত, এখন পড়াশোনার চেয়ে বড় তাহার কাছে কিছু নাই, সে স্কুলে চলিয়া গেল। কানু ও কালু কোন উপলক্ষে স্কুল কামাই করিতে পারিলে বাচে, অতিথির তদ্বিরের জন্য বাড়িতে থাকিতে তারা রাজি ছিল, মন্দার জন্য পারিল না! স্কুলে গেল না। শুধু বকুল। সারা দুপুরে এক মুহূতের জন্য সে শঙ্করের সঙ্গ ছাড়িল না। এ যেন তার বাড়ি-ঘর, শঙ্কর যেন তারই অতিথি, সে ছাড়া আর কে শঙ্করকে আপ্যায়িত করিবে। ফণীকে ঘুম পাড়াইয়া তাহার অবিশ্রাম বকুনি শুনিতে শুনিতে শ্যামার চোেখও ঘুমে জড়াইয়া আসে,- বকুলের মুখে যেন ঘুমপাড়ানি গান। বাড়ির কারোর সঙ্গে ও-মেয়েটার মেহের আদান-প্ৰদান নাই, কারো সোহাগ-মমতায় ও ধরা-ছোয়া দেয় না, অনুগ্রহের মত করিয়া সুপ্রভার ভালবাসাকে একটু যা গ্ৰহণ করে, শঙ্করের সঙ্গে এত ওর ভাব হইল কিসে, পরের ছেলে শঙ্কর ? এক তার পাগল ছেলে বিধান, আর এক পাগলী মেয়ে বকুল,-মন ওদের বুঝিবার যো নাই। শ্যাম যে এত করে মেয়েটার জন্য, দু' মিনিট ওর অদ্ভুত অনর্গল বাণী শুনিবার জন্য লুব্ধ হইয়া থাকে, কই শুমার সঙ্গে কথা তো বকুল বলে না ? কাছে টানিয়া আদর করিতে গেলে মেয়ে ছটফট করে, জননীর দু'টি স্নেহ-ব্যাকুল বাহু যেন ওকে দড়ি দিয়া বাধে। জগতে কে কবে এমন মেয়ে cपश्भिांgछ ? শু্যামা একটা शाई তোলে। জিজ্ঞাসা করে, হ্যা শঙ্কর, আমাদের বাড়ির দিকে কখনো যাও-টাও বাবা ? হারাণ ডাক্তার ভাড়াটে এনে দিলেন, তার নামটাও জানিনে। শঙ্কর বলে, ভাড়াটে কই, কেউ আসেনি তো ? সদর দরজায়। তালা বন্ধ ৷ শুগামা হাসিল, তুমি জান না। শঙ্কর-এক মাসের ওপোর ভাড়াটে এসেছে, পাঁচশ টাকা ভাড়া দিয়েছে,-ওদিকে তুমি যাওনি কখনো। শঙ্কর বলে, না মালীম, আপনাদের বাড়ি খালি পড়ে আছে, কেউ নেই বাড়িতে। জানালা কপাট বন্ধ, সামনে বাড়িভাড়ার লোটিশ ঝুলছে,-আমি কদিন দেখেছি। শ্যামা অবাক হইয়া বলে, তবে কি ভাড়াটে উঠে গেল ? আপনি ষাদের ভাড়া দিয়াছিলেন তারা যাবার পর কেউ BDBB DDDS LDDDD D DD DBD DD DD BBDS ধূলা GM তুই