পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

♚ नं नैौ গেলে করে বৈকি মেয়ে, বিছানা টিছানা পাতে। বিকেলে খানিকক্ষণ হেঁটেও বেড়ায় ছাতে, তা তো দেখতেই পাও ? মনে হয় সরযুর অনধিকার চর্চায় শুষ্ঠামা রাগ করে। পাশকরা ধাত্রী ! পাঁচটি সন্তানের জননী সে মেয়েয় কিসে uBDD BBB DBD LG DD BDD DS KKDB BBD শিখাইতে আসিয়াছে। শুষ্ঠামা প্ৰাণপণে মেয়েকে এটা ওটা খাওয়াইবার চেষ্টা করে, বকুলের কিন্তু অত খাওয়ার সখ নাই, তার সব চেয়ে জোরালো সঙ্গটি দেখা যায়, বিধানের বিবাহ সম্বন্ধে। শ্যামাকে সে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তোলে । বলে, কি করছ মা তুমি ? চাকরী বাকরী করছে, এবার দাদার বিয়ে দাও ? শামুর সঙ্গে দাদার অতি মাখামাখি দেখে ভয়ও কি হয় না তোমার ? কিসের মাখামাখি লো ?-শ্যামা সািভয়ে বলে । নয় ? বিয়ের যুগ্য মেয়ে, ও কেন রোজ পড়া জানতে আসবে দাদার কাছে ? পড়া জানিবার দরকার হয়। মাষ্টার রাখুক না ! না মা, দাদার তুমি বিয়ে দাও এবার। শামুর আসা যাওয়া শ্যামার চে য়ও বকুল বেশি অপছন্দ করে। কি পাকা গিন্নিই বকুল হইয়াছে। সাংসারিক জ্ঞান বুদ্ধিতে কচি মনটি যেন তার টইটম্বর, অ্যাটিতে চায় না। শামুর কাপড়পরা বেণীপাকানো, পাউডার মাখার ঢং দেখিয়া গা যে তার জলিয়া যায় শ্যামা ভিন্ন কার সাধ্য আছে তা টের পাইবে, মনে হয়। শামুর সঙ্গে সখিত্বই বুঝি তার গড়িয়া উঠিল। বনগার সেই টোকি ঘরখানায় চালায় ইতিমধ্যে বুঝি নূতন খড়ও ওঠে নাই এক অ্যাট, শঙ্করের গায়ের সেই জামাটি বুঝি ছেড়ে নাই, আশ্রমুখী সেই অবোধ বালিকা বকুল এই বকুল হইয়াছে, দুটি ছেলেমানুষ ছেলেমেয়ের সহজ বন্ধুত্বে সে অ্যাসটে গন্ধ পায় এবং বেমালুম তাহ গোপন রাখিয়া ওদের দেখায় হাসিমুখ, নাক সিটকায় মার কাছে আর করে ষড়যন্ত্র। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গড়িয়া পিটিয়া বকুলকে মানুষ করিয়া দিয়াছে স+ে হ নাই । ষড়যন্ত্রে শ্যামার সায় আছে। মিথ্যা নয়, বিধানের @द्म विांछ् q७ पद्मtद्म च । বিধান শুনিয়া হাসে । বলে, পিসির গাল সয়ে নিয়ে এলাম কি না, মাকে বুঝি তাই এসব কুপরামর্শ দিচ্ছিাস খুকী ? তুরিপর গভীর হইয়া বলে, এদিকে খরচ চলে না সে খবর রাখিস তুই ? ট্রামের টিকিট না কিনে মণির স্কুলের মাইনে দিয়েছি। এবার, তুই আছিস কোন তালে। বকুল বলে, আমাকে এনে তোমার খরচ বাড়ল দাদা । তবু তো আছিস আমায় ডুবিয়ে যাবার ফিকিরে। বকুল অভিমান করে। সে আসিয়া খরচ বাড়াইয়াছে বিধান একবার প্রতিবাদ করিলে সে খুসি হইত। কারো মন বুঝিয়া একটা কথা যদি বিধান কোনদিন বলিতে পারে। àܝ খানিক পরে আবার উন্টা কথা ভাবিয়া বকুলের অভিমান কমিয়া যায়। তাই বটে দাদা কি পর যে তোষামোদ করিয়া কথা কহিবে তার সঙ্গে ? আবার সে প্যান প্যান সুরু করিয়া দেয়। যুক্তি দেখায় যে ও-সব ঘাজে ওজোর বিধানের, এই যে সে আসিয়াছে, সংসার অচল হইয়াছে কি ? একটা বৌ আসিলেও স্বচ্ছন্দে সংসার চলবে। তার চেয়ে বেশি ভাত বৌ খাইবে না নিশ্চয়। h সংসারের ভার গ্ৰহণ করার আনন্দ বিধানের এদিকে কয়েক মাসের মধ্যেই তিতে হইয়া গিয়াছিল : এই বয়সে ভাইএর স্কুলের মাহিনী দিতে রোজ হঁটিয়া আপিস করা যদি বা সহ্য হয়, একেবারে নব্বই নব্বইটা টাকাতেও যে মাসের খরচ কুলায় না। এটুকু মাথা গরম করিয়া দেয় তরুণ মানুষের। বকুলকে একদিন বিধান ভয়ানক ধমকাইয়া দিল। বলিল, বিয়ে ! বিয়ে। একটা টু্যসানি খাঁজে পাচ্ছি না, বিয়ে বিয়ে করে পাগল করে দিল আমায়। ফের ও কথা বললে চড় খাবি খুকী। বলিয়া সে আপিস গেল। বকুল নাইল না, খাইল না, গো, বা করিয়া শুইয়া রইল। বিকালে বাড়ি ফিরিয়া বিধান শুনিল শ্যামার বকুনি, তারপর সে বকুলকে তুলিয়া খাওয়াইতে গেল । আজ বিভা বসিয়াছিল বকুলের কাছে। বিধানের সঙ্গে আগে সে কোনদিন কথা বলে নাই, আজি দয়া করিয়া বলিল, পালাচ্ছেন কেন, আসুন না ? কি বলেছেন বোনকে, বোন আজ রাগ করে। সারাদিন খায় নি ? তারপর বিভা বলিল, শামু খুব প্ৰশংসা করে বিধানের। জগতে নাকি এমন বিষয় নাই বিধান যা জানে না ? পড়াটড়া জানিতে আসিয়া শামু বোধ হয় খুব বিরক্ত করে বিধানকে ? আশ্চৰ্য মেয়ে, মানুষকে এমন জ্বালাতন করিতে পারে ও । বিভা এই সব বলে, বিধান মুখ লাল করিয়া আড়ষ্ট ভাবে শোনে। হ্যামাও তো পিছু পিছু আসিয়াছিল, বিধানের সে আর বকুল ভাবে শামুর কথা ওঠান বিধানের মুখ লাল হইয়াছে। তারা তো বুঝিতে পারে না জীবনে যে কখনো মেয়েদের ধারে কাছে ঘেষে নাই, বিভার মত গান-জানা মন-টানা আধুনিক মেয়ের কাছে কি তার দারুণ অস্বস্তি। গভীর বিষাদে শ্যামার মন ভরিয়া যায়। এইবার বুঝি তার একেবারে হাল ছাড়িয়া দিবার দিন আসিয়াছে। অন্ধ মেয়ে দিয়া ভগবানের সাধ মিটিল না, ছেলে কাড়িয়া নেওয়ার ব্যবস্থা করিয়াছেন এবার। বিধানের মেহের স্রোত আর কি তার দিকে বহিবে ? তার কড়া হাতের সেবা। আর কি ভাল লাগিবে বিধানের ? জননীকে আর তো বিধানের প্রয়োজন নাই। নিজের জীবন এবার নিজেই সে গড়িয়া তুলিবে, যে অধিকার এতদিন শুমার ছিল নিজস্ব। শ্যামা বুঝিতে পারে, জগতে এই পুরস্কার মা পায়। বকুলকে বড় করিয়া দান করিয়াছে পরের বাড়ি, তার চোখের সামনে বিধানের নিজের