পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डांड कॉल °९92 6 'दलछि यांब ना ?' ‘বলিসনি ? বলিসনি তো ? বেশ বেশী।” তারার অজান্তেই মনাকে শাড়ী গয়না পরিয়ে মাড় দুধ খাইয়ে সুখে রাখবার জন্য শহরে পাঠিয়ে নিজের মাছ দুধ খাবার স্মার স্ত্রীকে শাড়ী গয়না দেবার ব্যবস্থাটা হৃদয়পণ্ডিত করতে পারল । মাঝরাত থেকে শুরু করে পরের সমস্ত দিনটা মেয়ের জন্যে অপেক্ষা করে দুই ছেলেকে নিয়ে তারা গেল হৃদয়পণ্ডিতের বাড়ী । “মেয়েটা পালিয়েছে। পণ্ডিতমশায় ।” ‘তাই নাকি ? সত্যি ? সি ছি।” “মোকে দিন পাঠায়ে সদরে । আগলে থেকে ?” খানিক চুপ করে থেকে হৃদয়-পণ্ডিত বলে, “ওতে একটু গোলমাল হয়েছে তুতোর মা। যেখানে পাঠাব বলেছিলাম ন, সেখানে আর লোক নেবে না থাবর পেয়েছি।” কি হবে। আর ঘর ভিতরে এবং বাইরে শান্ত গম্ভীর হয়ে প্রমথ সেদিন বাড়ী ফেরে। অনেক দিন পরে আজ গভীর শাক্তি অনুভব করেছে, পরম মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। ভেবেচিন্তে মন স্থির করে ফেলবার পরেই এরকম আশ্চৰ্য্য ভাবে শান্ত হয়ে coicछ मनट । সারাদিন আপিসে সে আজ কোন কাজ করে নি, DBBB KBD S SDOD DBDBBBOS DD BBD S TDDD আপিসে কাজের মধ্যে ডুবে গিয়ে ভেতরের বিপৰ্য্যয়ের হাত থেকে সে খানিকটা মুক্তি পেয়েছে, কাজ যত হয়েছে দায়িত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে সে ভুলতে পেরেছে তত বেশী গভীরভাৰে। কৰ্ত্তব্য-পালনের তাগিদ তার মধ্যে চিরদিনই খুব জোরালো, অভ্যাস পুরনো । কিন্তু কাজও সব সময় ভাল লাগে নি। হঠাৎ মাঝে মাঝে কাজের প্রবল উৎসাহ কি ভাবে যেন মাঝপথে জুড়িয়ে গিয়ে ঘনিয়ে এসেছে গভীর বিষাদ ও অবসাদ । utrig at CR (CE, Astar Vict; its it a মনে পড়েছে। গীতাকে । গীতার সঙ্গে জীবনযাপনের সমগ্র অর্থহীনতাকে । চার বছরের সংঘাত, রিরক্তি, গ্লানিবোধ আর হতাশার VDe IN SOSO দুই ছেলেকে আগলে তারা ঠায় বসে থাকে দাওয়ায় । মাথায় তার কিলবিল করে ঘুরে বেড়ায় অজস্র উকুন । সােঝ বরণের অন্ধকাব চাদ উঠে আসায় ফিকে হয়ে আসে। তারা বুঝতে পারে, তার ছেলে দুটো হৃদয়-পণ্ডিতের দাওয়ার মাটিতেই ঘুমিয়ে পড়েছে। তাদের সেইখানে রেখে তারা চুপি চুপি রাস্তায় নেমে যায়। হাটতে আরম্ভ করে সদরের দিকে । তারপর অনেক কাণ্ড ঘটে তারার জীবনে । মাসখানেক পরে এক হাসপাতালে আয়নায় নিজের মুখ দেখে তারা প্রশ্ন করে, “ও কে গো ?” “দেখ, ত চিনতে পার কি-না। ও হল সাতাইখুনির গগনের বউ তারার মুখ ।” তারা হেসেই বঁাচে না।-"দুর। তারার মাথা ন্যাড়া হবে কেন গো ; কত চুল তারার মাথায় ।” ஒ சsர কবল থেকে রেহাই পাবার চরম ব্যবস্থা সে ঠিক করে ফেলেছে। গীতার জন্য বাধ্য হয়ে তাকে আর সঙ্কীর্ণ স্বাৰ্থপ্রধান, আদর্শচ্যুত শ্ৰীহীন জীবনযাপন করতে হবে না। অতি-বড়, অতি-পালনীয় কৰ্ত্তব্য পালনের গৌরবও সে অর্জন করবে, আত্মবিরোধী জীবনযাপন থেকেও রেহাই পাবে। শুধু কাপড়-গয়না, ভাল-খাওয়া, আডিডা সিনেমা নিয়ে আর বিরামহীন আব্দার, মতান্তর, অভিমান, নাকি-কান্না সয়ে অতিষ্ঠ হয়ে থাকতে হবে না । দু’চার দিনের মধ্যেই BDD DDS DBDBDBBS BDDDDBB BDD BB G DBBY যাবে-গীতার নাগালের বাইরে । গীতার হয়তো শিক্ষা হবে ভালরকম। চাকরীর মায়া না করে, ঘরসংসারের কথা না ভেবে, তাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে দেশের জন্য স্বামী তার জেলে যেতে পারে, এর আঘাত হয়তো তাকে একেবারে বদলে দিতে পারে। তার জেলে থাকার সুদীর্ঘ সময়টা এ বিষয়ে চিন্তা করে করে হয়তো সে বুঝতে শিখবে জীবনের গুরুত্ব কতখানি । হাস্ক স্বার্থপর অর্থহীন জীবনের ওপর হয়তো তার স্থায়ী বিতৃষ্ণা এসে যাবে । জেল থেকে বেরিয়ে হয়তো সে সুখী হতে পারবে গীতাকে নিয়ে, তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য আসৰে । দেশ ও সমাজের কথা একটু ভাবে, পদে পদে বিরোধিতা