পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতু কোণ BgK DBD BB BBD BDDD D DDD BBD DB DBS বাধাই আছে-আজিকার রাত্ৰি স্মরণীয় হোক, কাল চুলোয় যাক। ঘরের ভিতরে গিয়া এ ভাবটা অবশ্য তার কাটিয়া গেল। কিন্তু জড়ের গতিবেগের মতই আবেগের গতি, বেগ থামিবার পরেও গতি হঠাৎ থামে না। আপনা হইতেই খানিকটা আগাইয়া চলে। খাটে বসিয়া রাজকুমার বলে, দেরী হয়ে গেছে, না ? মালতী অম্বুটি স্বরে বলে, হ্যা। একলা কষ্ট হচ্ছিল ? আমার ভয়ানক কষ্ট হচ্ছে । রাজকুমার এতক্ষণে মালতীর দিকে তাকায়। দেয়ালে নীচু ব্র্যাকেটে আলো জ্বলিতেছে, মেঝে আর ওপাশের দেয়ালে মালতীর ছায়া পড়িয়াছে, ছায়ার তার শাড়ীর বিন্যাস ও অবিন্যাস স্পষ্টতর। পিছনের দেয়ালের পট-ভূমিকায় মালতীকে দে%াইতেছে মনের ক্যামেরায় তোলা পুরাণে ফটোর মত অস্পষ্টতার রহস্যে রহস্যময়ী-আধ-ভোলা স্মৃতি যেন ঘিরিয়া আছে তাকে । তাড়াতাড়ি কয়েকবার চোখের পলক ফেলিয়া রাজকুমার নিজের চোখের জলীয় ভ্ৰান্তিকেই যেন মুছিয়া দিতে চায়, তারপর হারাণে গোধূলির নিম্পভ দিগন্তে সোণার থালার মত নতুন চাদকে উঠিতে দেখিয়া শিশু যেভাবে চাহিয়া থাকে তেমনি মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখিতে থাকে মালতীকে । সরাসীকে তার মনে পড়িতেছে, হৃদয়-সাগর মন্থনে উখিত উর্বশী সরসীকে । সে যেন কতদিনের কথা, রাজকুমার যেন ভুলিয়া গিয়াছিল। তেমনি অনবদ্য নগ্নতার প্ৰতিমূৰ্ত্তির মত মালতীকে ওইখানে, যেখানে সে দাড়াইয়া আছে কৃত্ৰিম আলোয় সাজানো পুতুলের মত, দাঁড় করাইয়া দু'চোখ ভরিয়া তাকে দেখিবার জন্য রাজকুমারের হৃদয় উতলা হইয়া উঠে। দেহে মনে আবার সে যেন সেদিনের মত নবজীবনের, মহৎ আনন্দের সঞ্চার অনুভব করে। তার আশা হয়, সরসীর মত মালতীও আজ তাকে সমস্ত শ্ৰান্তি ও ক্ষোভ ভুলাইয়া দিতে পরিবে, আবার নিরুদ্বেগ মুক্তি জুটিবে তার, আবার সে উঠতে পরিবে তার আকাশের আবাসে, যে কুলায় ছাড়িয়া নিজের ইচ্ছায় সে নামিয়া আসে নাই। নিজের অজ্ঞাতসারে রাজকুমার উচ্চারণ করিতে থাকে, মালতী ! মালতী ! পথহারা শ্ৰান্ত মুমূর্ষু শিশু যেভাবে তার মাকে ডাকিয়া কাতরায় । কিন্তু মালতী শুধু মাথা নাড়ে। রাজকুমার বুঝিতে পারে না, আবার আবেদন জানায়। মালতী মাথা নাড়ে আর আঁচলের প্রান্ত দিয়া নিজেকে আরেকটু ঢাকিতে চেষ্টা করে। কথা যখন সে বলে তার কণ্ঠস্বর শোনায় কর্কশ । মালতী বলে, শোন। আমার কেমন যেন লাগছে। কেমন লাগছে মালতী ? গা গুলিয়ে বমি আসছে { aе Sግዒ ক্ৰোধ, বিরক্তি আর বিষাদে রাজকুমারের অনুভূতির আধারে ফেনিল আবর্তের সৃষ্টি হয়। তীব্র সঙ্কীর্ণ বেদনার পুনরাবৃত্তিময় সংক্ষিপ্ত আবেদন ক্ষণিকের নিৰ্বিকার শাস্তিতে লয় পায় আর আৰ্ত্তিনাদ করিয়া ওঠে। সে অনুভব করে, স্পষ্ট হইতে স্পষ্টতর ভাবে অনুভব করে, ভয় ও শ্রদ্ধার বশ্যতা, কাব্য ও স্বপ্নের মোহ, আবেগ ও উত্তেজনার তাগিদ, কিছুই মালতীকে ভুল করিতে দিবে না। তার দিকে মালতীর গতি বন্ধ করিয়া কোনদিকে তাকে চলিতে হইবে দেখাইয়া দিবার কথা সে যা ভাবিয়াছিল, তার কোন প্ৰয়োজন ছিল না । মালতী আর আগাইবে না। সে ডাকিলেও নয়, হাত ধরিয়া টানিলেও নয়। শুধু আজ নয়, চিরদিন এই পৰ্য্যন্তই ছিল DDBBB S BDBS BBDSS DDDDS iB DBDBS DD SBDL হয়তো মালতী জানে না, এখনো হয়তো সে ধরিয়া রাখিয়াছে আজ রাত্রিই তার প্ৰিয় মিলনের রাত্রি, কিন্তু রাজকুমার দু’বাহু বাড়াইয়া দিলে সে আসিয়া ধরা দিবে না। মালতীর সম্বন্ধে এ যে তার কল্পনা নয়। সে বিষয়ে রাজকুমারের এতটুকু সন্দেহ থাকে না, অশোকতরু মূলে ক্লেশপাণ্ডুরবর্ণ অধোমুখী সীতার দিকে চাহিয়া দেবতা ব্ৰহ্মা আর রাক্ষসী নিকষার পুত্র রাবণ যে যন্ত্রণায় অমরত্বের প্রতিকার চাহিত, রাজকুমারও তেমনি যন্ত্রণা ভোগ করে। রাবণের তবু মন্দোদরী ছিল, জীবনে রাবণ তবু ভালবাসিয়াছিল। সেই একটিমাত্র নারীকে, একটু যে ভালবাসিবে রাজকুমার এমন তার কেউ নাই। তা ছাড়া, তার সীতাকে সে ফিরাইয়া দিতে চাহিয়াছিল। প্ৰায় গায়ের জোরের মতই ব্যক্তিত্বের প্রভাবকে ছল বল কৌশল করিয়া রাখিয়া এতদিন সে মালতীকে হরণ করিয়া রাখিয়াছিল, আজ ভাবিয়াছিল তার মনটি পৰ্য্যন্ত মুক্ত করিয়া শ্যামলকে ফিরাইয়া দিবে। এই উদারতার কল্পনাটুকু পৰ্য্যন্ত তার মিথ্যা, অকারণ অহঙ্কার বলিয়া প্ৰমাণিত হইয়া গেল ! নিছক অহঙ্কার, অতি সস্তা আত্ম-তৃপ্তি, নিজেকে কেন্দ্ৰ করিয়া শিশুর মত রূপকথা রচনা করা । মালতী কবে তার বশে ছিল যে আজ তাকে মুক্তি দেওয়ার কথা সে ভাবিতেছিল ? কোন দিন কিছু দাবী করে নাই বলিয়াই তার সম্বন্ধে মালতীর মোহ এতদিন টিকিয়া ছিল, দাবী জানানো মাত্র মালতী ছিটুকাইয়া দূরে সরিয়া যাইত, হয়তো शुei •ॉर्षjख्ठ कब्रिड चांद्रष्ठ कब्रिड डांक । बाज़़ी शायद भालऊँी একটু শুয়ে থাকি। বড় অস্থির অস্থির করছে। রাজকুমার বিছানা ছাড়িয়া উঠিয়া দাড়াইতে মালতী গিয়া শুইয়া পড়িল । দরজা বন্ধ করে এতক্ষণ ঘরে বসে ছিলাম বলে বোধ হয় । ९ठा छटद । बिछिभिछेि झूमl cम७ब्रा छल । OCG for