পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፪ ፴ ፴ Qዥ ♥] পাৱৰ। খোপার পয়সা দিতে তোমার কষ্ট হয় জানতাম না fir ' বিকাশ অবাক হইয়া গেল। মৃন্ময়ীর মেজাজ সব সময় ভাল থাকে না, কিন্তু এ ভাবে কলহ করাও তাহার স্বভাব নয়। তথাপি সকৌতুকে হাসিয়াই বিকাশ বলিল “হয়ই ত কষ্ট । তোর জন্য একটা পয়সা খরচ করতেও আমার कछे श्म। किस् cठाद्र लूठ करें 61 ? মৃন্ময়ী চমকাইয়া উঠিল। ‘ভূত। ভূত কি ?” "পচু দেখেছে। তুই বেড়াচ্ছিল, একটা ভূত এসে তোকে জড়িয়ে ধরল। মৃন্ময়ী হঠাৎ যেন ক্ষেপিয়া গেল 'তুই দেখেছিল। পাচু ? মিথ্যেবাদী হারামজাদা, দেখেছিল তুই।” চাদের আলোয় তাহার গালে জলের দাগ চকচক করে, চোখ যেন পাগল মেয়ের রাগ (3 c52 Cr &S, পাচুকে সে আঘাত করবে। কিন্তু হঠাৎলে থর दळाऐव् । “ওটাকে ভূত মনে করেছিল বােধ হয়।" মৃন্ময়ী নিজের ছায়াটি দেখাইয়া দিল। একটি হ্রস্ব বাহু ৰাড়াইয়া ছায়াও তাহার কথায় সায় দিল । পাচুকে নীচে নামাইয়া দিয়া বিকাশ স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল। মৃন্ময়ী প্রশ্ন করিল, “কি ভাবছি শুনি।” “ভাবছি পাঁচু কেন ভয় পেল। তোকে তো ও কতদিন অন্ধকার ছাতে ঘুরতে দেখেছে, আর আজ এমন জ্যোৎ মা । এও কি সুলতার দোষ রে ? মৃন্ময়ী শুল্কম্বরে বলিল “তা ছাড়া কি ? বিকাশ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল 'চল মিজু, আমরা নীচে যাই।” “নীচে গিয়ে কি করব ? তোমার বৌ এর সেবা ?” 'করলে কি তোর পাপ হবে ? বড় নির্লজ্জ তুই। বড় ছোট মন তোর।' এমন কঠিন কথা দাদার কাছে মৃন্ময়ী জীবনে আর শোনে নাই। সে কাদিয়া ফেলিল। ‘বৌকে আমি হিংসা করি না দাদা, তোমার গা ছয়ে বলছি একটুও হিংসা করি না।” বিকাশ তাহাকে শান্ত করিবার চেষ্টা পৰ্যন্ত করিল না, সংক্ষেপে শুধু বলিল “তা জানি। চল নীচে । Q রাত নটায় সুলতা চ্যাচাইতে আরম্ভ দ্য রিয়া দিল, থামিল এগারোটার সময় ; একেবারে অজ্ঞান হইয়া। বিকাশ সািভয়ে বলিল ‘ওকি হ’ল ? মরে গেল নাকি ডাক্তার বাবু ? ডাক্তার বসিয়া বসিয়া বিমাইতেছিলেন, বলিলেন ‘যান মশাই, আপনি রাস্তায় যান।’ বিকাশ মিনতি করিয়া বলিল *৩াপনি আর একবারে দেখে আসুন ডাক্তার বাবু। এমন আচমকা চুপ করে গেল, আমার ভাল বোধ হচ্ছে না। ডাক্তার উঠলেন । পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফিরিয়া আসিয়া রিপোর্ট দিলেন অস্বাভাবিক কিছুই ঘটে নাই, সুলতা শুধু অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছে। ‘অজ্ঞান ৷” ডাক্তার বিরক্ত হইয়া বলিলেন “আচ্ছা পাগল তো আপনি ! আপনার জন্য দরকার মত উনি অজ্ঞানও হতে পারবেন না ?” বিকাশ ছটফট করিতেছিল, এবার বসিল । কোলাহল गयाएशांश् माथे बलिया गकiाम्र 6ण निश्ड्ठि श्वा६ि०, ७थन অ’র ও বিষয়ে নালিশ করিবার কিছু নাই। সুলতা একাই সমারোহের সীমা রাখে নাই। সমস্ত বাড়ীটা অস্বাভাবিক স্তব্ধ হইয়া পড়িয়াছে। সুলতা হয়ত আব্ব শব্দ করিবে না, এ স্তৱতা ভাঙ্গিবে একেবারে শঙ্খধ্বনিতে,-যদি ছেলে হয়। শাখ সম্ভবতঃ মৃন্ময়ীই বাজাইবে। শঙ্খ হাতে সেই যে সে প্রহরীর মত আঁতুড়ের দরজায় বসিয়াছিল, একবারও সেখান হইতে নড়ে নাই। ভীত পাচুর সঙ্গে সুধাকেও শুইতে হইয়াছিল, তাহারা দুজনেই ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। গাঢ় অবসাদের গাঢ় ঘুম, কাল সকালের আগে টানিয়া তুলিলেও তাঁহাদের ঘুম ভাব্দিবে না। সুস্থ সানন্দ-চিত্তে কাল তাহারা নবাগতকে দেখিবো। কিন্তু আজিকার অভিজ্ঞতা তাহারা ভুলিবে না কোনদিন। জীবনের ক্ৰমবিকাশের সঙ্গে খাপ খাইতে হয়ত ক্ৰমাগত রূপান্তর নিবে, কিন্তু কখনো বিস্মৃতিকে তলাইয়া যাইবে না। হাঁটুর মধ্যে মুখ গুজিয়া দিয়া বিকাশ ভাবিতে লাগিল, সমস্ত জীবন মানুষ দুঃখ ভোগ করে, রোগে শোকে কষ্ট পায় কিন্তু সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর তাহার জন্মগ্রহণ। কিন্তু কেন ? এই অনাবশ্যক বীভৎসতার মধ্য দিযা কে মানুষকে পৃথিবীতে st খোকা আসিবে আসুক, কিন্তু এ যে বৰ্গী আসারও বাড়া।