পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WX) a শিবনাথ-জীবনী । ” eRSS অভিসন্ধির উপর তীক্ষ দৃষ্টি। কি search light নিজের প্রাণের অন্তঃস্থলে প্ৰতিদিন ফেলিতেন। তার প্ৰমাণ ডায়েরির পাতায় পাতায় রহিয়াছে। তারপর মন্ত্র জপ, ব্ৰত ধারণ, গুরু কীৰ্ত্তন এ সকল নিজ উপাসনার অঙ্গ ছিল। কখন কি মন্ত্র জপ করিতেন তার কথাও দেখি, তারপর ব্ৰত ধারণ-সর্বদাই নানাবিধ ব্ৰত গ্ৰহণ করিতেন-অনেক দিন অসিধারার ব্ৰত করিয়াছিলেন । গুরুকীৰ্ত্তনের কথা পূর্বে বলিয়াছি। এসকল কথা কত আর বলিব, বলিবার নয়। তিনি এসকল সাধনের কথা চিরদিন গোপন রাখিয়াছিলেন । এই ত গেল সাধননিষ্ঠ । তঁর বৈরাগ্যের কথা বর্ণনা করিয়া বলিবার ভাষা আমি শিখি নাই । এ কিছু বৈরাগ্যের ঠাট নহে। গেরুয়া তিনি কখন পরেন। নাই। তঁর চিত্ত পৃথিবীর সমুদয় ভোগ সুখকে বাঁ-পায়ে পদাঘাত করিয়া উৰ্দ্ধলোকে গমন করিয়াছিল । বৈরাগ্য ও ত্যাগ না। থাকিলে কি ধৰ্ম্মাগ্নি কখনো প্ৰজ্বলিত হয়, তঁর সমুদয় দেহ মন বৈরাগ্যের অনলে ধক ধিক করিয়া জ্বলিত। যথার্থই তিনি ভাগব্বতি-তনু লাভ করিয়াছিলেন। ত্যাগ তার জীবনের মূলমন্ত্র ছিল। সতীশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় শিবনাথের মৃত্যুর পর লিখিয়াছিলেন “যদি শাস্ত্রী মহাশয়ের জীবনে কোন অনল থাকিয়া থাকে। তবে তাহা তার আত্মদান। তঁার প্রভাব, তার বেদী ও বক্তৃতামাঞ্চ হইতে উচ্চারিত বাণীর নিগৃঢ় শক্তি, ঐ এক মূল হইতে-তিনি যে আপনাকে একেবারে দিয়াছিলেন । এমন করিয়া আপনাকে দিতে, আপনাকে হারাইতে, আপনাকে লুপ্ত করিতে আর কাহাকেও দেখি নাই।” তার মৃত্যুর পর "দৈনিক”