পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b”bሦ হলুদ পোড়া উপভোগ্য বলিয়া মনে হয়। হঠাৎ সুনীতির প্রতি সে একটা স্পষ্ট জোরালো ঘূণার ভাব অনুভব করে। এতকাল পরে তার আজ প্রথম আপশোষের সঙ্গে মনে হয় যে ক্লাবের মত, দার্শনিকের মত সুনীতির অপরাধকে তার উপেক্ষা করা যেন উচিত হয় নাই, ওই ক্ষমাটা পৰ্য্যন্ত সুনীতি তাকে বোকা পাইয়া আদায় করিয়া লইয়াছিল । সুনীতিকে একটা ভাল রকম শান্তি দিলে বড় ভাল হইত,—মনুষ্যত্বের পরিচয় দেওয়া হুইত । স্ত্রীর সঙ্গে এই তুচ্ছ কথোপকথনটি তার সকালবেলার। কাল হাসি সোডা দিয়া চুল সাফ করিয়াছিল, আজ তেল দিয়া স্নান করিবে। তার রুক্ষ ফাঁপানো চুলে একফোঁটা তেলের চিহ্নও নাই। তবু এই অসময়ে কোথা হইতে যে প্রমথ ভ্ৰাণ পাইতে লাগিল কেশতৈলের । সেই চির-পরিচিত ওমিলনাইনের গন্ধ ! হাসি হাসি বন্ধ' করিয়া ব্যগ্ৰকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, কি হ’ল ? কি হল তোমূর হঠাৎ ? প্রমথ বলিল, তোমার তেলের শিশিটা নিয়ে এসে তো চট্ট করে । 625 ? আগে আনো, বলছি । হাসি তেলের শিশি আনিয়া দিল। দেশী তেল। গন্ধটা চড়া। ছিপি খুলিয়া শিশিটা নাকের সামনে ধরিয়া প্রমথ জোরে জোরে শ্বাস টানিতে লাগিল, হাসি অবাক হইয়া দেখিতে লাগিল তার বিবৰ্ণ কপোলে বিন্দু বিন্দু ঘৰ্ম্মের আবির্ভাব। আগেও সে দু’একবার স্বামীর এরকম আকস্মিক ভাবান্তর লক্ষ্য