পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেখকের কথা এই উপন্যাসের পূর্ববঙ্গত্যাগী চরিত্রগুলির মুখে তাদের কথ্য ভাষা, এমন কি, বিশেষ টানটুকু দেবারও চেষ্টা করিনি। তার কারণ, এই উপন্যাসে আরও অনেক প্রধান চরিত্র আছে যারা ওভাষায় কথা বলে না, যাদের কথায় ও রকম টান নেই। এক্ষেত্রে কতগুলি চরিত্রের মুখে স্বাভাবিক। আঞ্চলিক ভাষা বা টান দিলে চরিত্রগুলির মধ্যে একটা ভাগাভাগি এনে দেওয়া হত। কোন কাহিনীতে দু’চারটি বিশেষ চরিত্রকে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলানো যায়-তাতে চরিত্রকািটর বৈশিষ্ট্য আরও স্পষ্ট ও স্বাভাবিক হয়। বিশেষ কাহিনীতে বিশেষ প্ৰয়োজনে ছাড়া চরিত্রগুলিকে মোট দুটি ভাগ করে দু'রকম আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলানো উচিত নয়-বিশেষ করে চরিত্রগুলি যদি একই শ্রেণীর মানুষ হয়। আমার এই উপন্যাসে কোন চরিত্রের মুখে আঞ্চলিক ভাষা আমদানীর কোনই প্রয়োজন নেই। এই কাহিনীর মূল ভিত্তি হল সমাজের ব্যক্তিকেন্দ্ৰিক জীবনের সঙ্কীর্ণ সীমা ভেঙ্গে গিয়ে সাৰ্বজনীন ব্যাপকতার মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠা করার যে নতুন গতি च्छे झूgछ ऐछrègछ ।