পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সার্বজনীন ԳՀ এই সেদিনও যার দ্বিধা জাগেনি ? সেদিন মা বলে ডেকে পরমেশ্বর কি ? তার এই দশা করেছে ? এ ভাবে চিন্তা করতে অনুভৱ করতে শিখিয়েছে ? কিন্তু মা বলে ডেকেই যদি বিষিয়ে তোলা কঁাচা মনে মানুষ আর জীবনকে শ্রদ্ধ করার অমৃত সৃষ্টি করে নিজের উপরেও শ্রদ্ধা জাগানো যেত। তবে আর ভাবনা ছিল কি ! পদ্মা শুধু ভড়কে গেছে। ভদ্র-জীবনের মিথ্যা আর ফাকিগুলিই আরও বেশী করে ধরা পড়ছে তার কাছে । নইলে সুরঞ্জন অধ্যাপক হয়েছে শুনে আত্মশ্লানিতে তার মন এমন বিরূপ হয়ে ওঠে যে এ বাড়ীতে এসেও একবার ওদের পিছনের অংশটুকুতে যেতে অনিচ্ছা বোধ করে ! ইতিমধ্যে সুরঞ্জন কলেজ থেকে তিন চারবার তাদের বাড়ী গিয়েছে। তার জন্যই গিয়েছে সে তো জানা কথাই। চাকরী পাওয়ার আগে পৰ্য্যন্ত সুরঞ্জন খুব সংযতভাবে তার সঙ্গে মিশত। ঘনিষ্ঠতা বাড়াবার কোন চেষ্টাই করত না । এখন সে ঘনিষ্ঠ হতে চায়। অত্যন্ত সদিচ্ছা নিয়েই চায় তাতে সন্দেহ কি ! কিন্তু চাকরী পাওয়া না পাওয়ার উপরেই যে সদিচ্ছা নির্ভর করে সেটা সার্থক করার জন্য তার সঙ্গে এবার বেশী করে মিলে মিশে একটা ভালবাসা তৈরী করে নেবার কোনই তো দরকার নেই। সোজাসুজি বিধুভুষণের কাছে গিয়ে প্ৰস্তাব করলেই পারে। ভাল ছেলে, ভবিষ্যৎ আছে। বিধুভুষণ রাজী হয়ে যাবে। তার মতামত ? ছাত্র সুরজনকে কত সুযোগ সে দিয়েছে তার মতামত জেনে নেবার-তখন জেনে নিলে তার একটা মানে থাকত। আজ অধ্যাপক