পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন te টাকা মণিঅর্ডার করে পাঠানো। না পাঠিয়ে উপায় নেই। কদিন পরেই মার আমার চিঠি আসবে। পদ্মা টুলে বসে যেন উসফুস করে। দু’বছর বোধ হয় পুরো হয় নি, নির্জন দুপুরে মিহি শাড়ী এলো মেলো ভাবে গায়ে জড়িয়ে এই লোকটাকে সে জব্দ করে এসেছিল । মা জননী বলে ডেকে কি জব্দই তাকে করেছিল মানুষটা । ওর নাকি সৎমা আছে। বাবার তৃতীয় পক্ষের বৌ! দশবছর তাকে নাকি সে মাসে মাসে মনিঅৰ্ডারে টাকা পাঠিয়ে এসেছে। শুধু এটুকু জানলে সে কি আর সেদিন মানুষটাকে জব্দ করার কথা মনে আনত ? একেবারে একা দেখত মানুষটাকে, গা-ছাড়া ভাব, হালকা হাসি তামাসা নিয়ে দিন কাটায় । ওর যে আবার আপনি জন আছে ভাবতেও পারা যেত না ।

कि विश्वन ? : লিখলাম টাকা আর পাঠানো হবে না, ছেলেদের কাছে চলে এসো। আনতে লোক পাঠাচ্ছি।

পদ্মা হঠাৎ উঠে দাড়ায় । : আপনি ভয়ানক নিষ্ঠুর। নিষ্ঠুর হয়ে আপনি আনন্দ পান। পরমেশ্বর যেন খুন্সী হয়ে বলে, এত চটে গেলে ? বয়স হলে বুঝবে, এটা নিষ্ঠুরতা নয়, এ হল প্ৰকৃতির দায়, জীবনের নিয়ম। গরু দোয়া দেখেছি কখনো ? বাছুর কি ভাবে স্তন পান করে ? মায়ের দেহের সারাংশ চুষে নিচ্ছে, একটু তাতে কম পড়লেই প্ৰাণপণে ঢু মারে। গাইটি আর পারছিল না দুখ ছাড়তে বন্ধ করে দিতে চাইছিল সাপ্লাই । বাছুরের শুতোয় আবার সে খানিকটা দুধ ছাড়ে রিজার্ভ ফাণ্ড থেকে। बाङ्की कि निईन्न ?