পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(S সাৰ্বজনীন অভাব নেই, অথচ কারো মুখে হাসি দেখা যায় না। এই নিরানন্দ আবহাওয়ায় যেতে তার মন চায় না, গেলেও তার হাসিখুসীি ভাব দেখে সবাই তাকে ছ্যাবলা মনে করে। এ অবস্থায় বাড়ীতে না যাওয়াই তার পক্ষে ভাল ! ছেলে সন্ন্যাসী হয়ে যাবে ভেবে মা বাবা কি রকম ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল পরমেশ্বরের, কিভাবে চেষ্টা করেছিল সুন্দরী মেয়ে খুঁজে তাড়াতাড়ি তার বিয়ে দেবার সে কাহিনীও সুরমা শোনায় । পরমেশ্বর জানিয়েছিল, বিয়ে সে করতে রাজী আছে । সমীর অবাক হয়ে হলে, সত্যি ? श्रद्धभ द८व्, आणीि कि दानिश बनछि ? বিয়ে করতে পরমেশ্বর রাজী হয়েছিল, কিন্তু একটি সৰ্ত্তে । ছোট একটি মেয়েকে সে বিয়ে করবে, বিয়ের পর বৌ নিয়ে একেবারে পৃথক হয়ে থাকবে । 6कन्म ? না, বৌকে সে শিখিয়ে পড়িয়ে নেবে, গড়ে তুলবে-যাতে অকারণে অসুখী হবার ধাতটা তার বদলে যায়। সত্যি সত্যি দুঃখ পাবার কারণ না ঘটলে, রোগ ব্যারাম না হলে—শুধু বাদ শিক্ষার জন্য সে যাতে হাসতে না ভুলে যায়। জীবন আনন্দময়-এই সত্যটা বুঝতে শেখে | সুরমা বলে, বুঝছেন তো ? উনি চিরদিন এই ভাবের ভাবুক । কারো খাতিরে উনি কারো বানানো দুঃখের ভাগ নেবেন না। এটাকেই উনি ঝনঝাট এড়িয়ে চলা বলেন। সমীর বলে, এটাই তো বৈরাগ্য । সুরমা বলে, কিসে ? ঃ সংসারে সুখ নেই কেবল দুঃখ-এই ভাবকেই বৈরাগ্য বলে, এই ভাব থেকেই লোকে সংসার ছাড়ে।