পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন V8. বলতে বলকে যুবকটি পকেট থেকে একটা ব্যাজ বার করে পিন দিয়ে সার্টের বুক পকেটে এটে দেয়। দেখে ভদ্রলোকটি উদাসভাবে সিগারেটে একটা টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলে, আচ্ছা আপনারা একটু অপেক্ষা করুন। আমার ब्रांछों निम्र अॉनि। সেই ষে গাড়ী আনতে যায়, আর তার পাত্তা মেলে না ! পাঁচ সাত মিনিট পরে নবাগত যুবকটি বলে, ওর জন্য অপেক্ষা করে আর লাভ নেই। ও, আর ফিরছে না । গণেশের মা বলে, মাগো, এমন সব কারবার। এখানে | | মহেশ্বর নিঃশ্বাস ফেলে বলে, যারা ঘরবাড়ী ছেড়ে নিরাশ্রয় হয়ে এসেছে তাদেরও মানুষ ঘাড় ভাঙ্গে ? ভলান্টিয়ার ছেলেটি বলে, ঘাড়-ভাঙ্গা সমাজে এতো হবেই। দুর্ভিক্ষে যখন লাখ লাখ মানুষ মরছিল তখন চালের কারবারে কত লোক লাখাপতি হয়েছে বলুন তো ? বলতে বলতে ছেলেটি একজন বুড়োর দিকে তাড়াতাড়ি এগিয়ে যায়। বুড়ে বলে বুড়ো, বয়স বুঝি তার একশ’র কাছে গেছে। ছেড়া একটা কঁথা গায়ে জড়িয়ে লাঠিতে ভর দিয়ে বঁকা হয়ে দাড়িয়ে মুখ উচু করে সে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল। চােখের দৃষ্টি যে তার ঝাপসা হয়ে গেছে, অপরিচিত এই জগত যে আবছা অস্পষ্ট একটা অদ্ভূত রহস্তের মত ঠেকছে তার কাছে, নড়বড়ে ঘাড়ে বসানো মাথাটা সঞ্চালন করা দেখেই তা বোঝা যায়। শণের মত পাকা চুলগুলিও তার অধিকাংশ ঝরে এই মানুষটা কি একা এসেছে দেশবাড়ী আশ্ৰয় ছেড়ে ? না, তাও কি সম্ভব। একটি বৌ এক হাতে একটি শিশু বুকে চেপে ধরে অন্য হাতে