পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন তার হাসি দেখে সকলেই স্বস্তি ফিরে পায়। = ও মেয়েটার কথা বাদ দাও। ও এখন কত রকম কাণ্ড করবে। পরমেশ্বর বলে, কেন করবে ? * এইভাবে গুছিয়ে নেবার চেষ্টা করছে। পরমেশ্বর ধীরে ধীরে বলে, সত্যি, এ বড় আশ্চৰ্য্য ব্যাপার। তোরা যেন সব বুঝে গিয়েছিস। সব যেন ছকে বাধা হয়ে আছে তোদের কাছে। কেউ হাসলেও তার মানে বুঝতে বাকী থাকে না। মানুষ যেন তোদেরি নিয়মে হাসে কুঁদে ! তারা নিৰ্বাক হয়ে থাকে। চা খেয়ে পরমেশ্বর ধীরে ধীরে বস্তির দিকে হাটতে আরম্ভ করে। চটপট ভাই বোনকে খাইয়ে নিজে খেয়ে বেশ বদলে সবিতা মা’র জন্য ওষুধ আনতে বার হচ্ছিল। ভাবছিল পঙ্কজকে জিজ্ঞাসা করে যাবে কোন ওষুধের দোকানে গেলে ডাক্তারকে অবস্থা বলে ওষুধ আনা সুবিধা হবে। পরমেশ্বর বলে, এই তো দিব্যি মানিয়েছে। ক্ষমা চেয়ে অন্যায় করেছিলাম, ফিরিয়ে নিতে এলাম। তোমার ও বেশে বাইরে যাওয়া সত্যি অন্যায় হয়েছিল। ঃ অতটা খেয়াল করি নি । ৪ সেটা বুঝেছি। খেয়ালও করনি, গ্ৰাহও করনি ; কিন্তু করতে হবে । দায় ঘাড়ে নিয়েছ, তার মানেই দশজনের সঙ্গে তোমার মানিয়ে চলতে হবে। তোমায় দেখেই যদি লোকে নানা কথা ভাবে, তাতে তোমারি অসুবিধা । সবিতা চুপ করে থাকে। পরমেশ্বর হেসে বলে, আমি সহজে কাউকে উপদেশ দিই না, পরামর্শও দিই না। তোমায় দিয়ে ফেললাম। মুস্কিলটা কি হয়েছে শুনি ?