পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नांदखौन SvR খবর দিয়ে কাজে চলে যায়, বিকালে বাড়ী ফেরামাত্র ডাক আম্বে মহেশ্বরের কাছে । প্রতিমা তাকে ডাকতে এসে বলে, বাবাকে এ পুজোর ব্যাপারে। জড়ানো চলবে না । পঙ্কজ বলে, সে কি ? আমি তো বিশেষ ভাবে ওঁকেই জড়াতে फ्रांझेक्षित्रांश ! বাবার মন ভেঙ্গে গেছে । মহেশ্বরকে দেখেই সেটা টের পাওয়া যায়। শুধু মন নয়, শরীরটাও তার ভাঙ্গাবার দিকে চলেছে । মহেশ্বর বলে, পোড়া ঘায়ে দাগ দিচ্ছ কেন বাবা ? তোমরা পুজো করবে, অন্য কোথাও বৈঠক ডেকে পরামর্শ কর । পঙ্কজ বলে, আপনাকেও তো আমরা চাই। আমরা ভাবছিলাম, আপনাকে প্রেসিডেন্ট করব । সকরুণ হতাশার হাসি ফোটে মহেশ্বরের মুখে । : বাপ ঠাকুর্দার পূজো বন্ধ করলাম, তঁরা আমায় স্বৰ্গ থেকে অভিশাপ দিচ্ছেন। এমন কুলাঙ্গার আমি, কোন মুখে তোমাদের পূজোয় প্রেসিডেন্ট হব ? না বাবা, আমায় রেহাই দাও । আমার জালা चांgि७ नीं । সাধনের সঙ্গে কথা কয়ে পঙ্কজ টেরও পায় নি পূর্বপুরুষের দুৰ্গা পূজা বন্ধ করে দেবার জালাটা সত্যই কত তীব্র হতে পারে। সাধন আর বুড়ো মহেশ্বরের পার্থক্যটা এখন সে বুঝতে পারে। সব গেছে মহেশ্বরের কিন্তু তবু সে ভাবে নি। সব শেষ হয়েছে। বছরকার পূজার পালা শেষ হওয়ার সঙ্গে তার কাছে বেঁচে থাকার মানেটাই শুধু শেষ হয়ে যায় নি, জীবনটা হয়ে গেছে ব্যৰ্থ, অভিশপ্ত ।