পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৭৪
১৫১৩ সাল।

তোমার সাবধানতার জন্য সুবিধা করিতে পারি নাই। অবশেষে অনেক চেষ্টায় পর স্থির করিলাম যে, তোমাদের লস্করগণকে অর্থলোতে বশীভূত করিয়া বিদ্রোহী করিতে না পারিলে আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইবে না। যে দিন আমি সমুদ্রতলস্থিত জাহাজের ধনরাশি দেখি, সেই দিনই এই মতলব্ স্থির করি। কিন্তু সেই সময়েই আমার আগেকার মতের পরিবর্ত্তন হয়। সেই সুবর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকার কম হইবে না। “সোনার ভারতে” যে সুবর্ণ আছে, তাহার মূল্যও দশলক্ষের কম মহে। দেখিলাম যে, এই ত্রিশ লক্ষের কিছু না হ’ক, বিশ লক্ষ আমি অনায়াসেই নিজস্ব করিয়া লইতে পারিব। বাকী বিশ লক্ষ লস্কর্‌দিগকে ঘুষ দিলে, তাহারা আমার সহিত নিশ্চয়ই যোগ দিবে। আমি প্রথমে কাপ্তেনের মনোগত ভাব বুঝিয়া দেখিলাম। তিনি একেবারেই নারাজ। তখন আমি লস্কর্‌দিগকে জাপাইতে লাগিলাম। প্রথমে তাহার রাজী হয় না; কিন্তু যখন তাহাদিগকে রাতারাতি বড় মানুষ হইবার সুবিধা বিস্তারিত ভাবে বুঝাইয়া দিয়া তাহাদের এই ধারণা করাইলাম যে, তাহাদিগের কোন বিপদের আশঙ্কা নাই, তখন তাহারা অনেকেই আমার সহিত যোগ দিতে স্বীকৃত হইল। পরে আমি অন্যান্য মতলব স্থির করিয়া বিদ্রোহ করিবার সুবিধা খুঁজিতে লাগিলাম। আমি এখন আর “প্রভাতী” সম্পাদকের ভৃত্য নহি। আমাকেই তোমাদের শত্রু জানিবে।”

 বন্ধুবর বলিলেন:—

 “এখন সকল কথাই বুঝিলাম! কাপ্তেন মহাশয় কোথায়?”

 “তাঁহার হাত পা বাঁধিয়া তাঁহাকে এক কাবিনে বন্দী করিয়া রাখিয়া আসিয়াছি। চার জন্য লস্কর্ তাঁহাকে পাহারা দিতেছে। যাক্, এখন তোমরা আমার সর্ত্তে রাজী আছ কিনা বল?”

 বন্ধুবর দৃঢ় ভাবে উত্তর দিলেন:—