পাতা:কাঙ্গালের ঠাকুর - জলধর সেন.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঙ্গালের ঠাকুর 8. রাজীই বা কবে হলেন । যা, যা, তোর সঙ্গে আর কথাকাটাকাটি করতে পারিনে। সাবধান, আর কখনও জিনিসপত্র এমন নষ্ট করিসনে। জানিস, আধাপো চেলের দাম একটি পয়সা ; তাহলে হলো গিয়ে-” “না, না, তোমাকে আর হিসাব করতে হবে না ; আমি এই নাকে-কাণে খৎ দিচ্ছি। আর যদি কখন এমন কাজ করি।” এই বলিয়া নেত্য বাড়ীর মধ্যে চলিয়া যাইতে উদ্যত হইল । দাদা। তখন কোমল স্বরে নেত্যকে ডাকিয়া বলিলেন, “দেখ নেতা, তোরই ভালোর জন্য বলি। আমি আর ক’দিন আছি। এখন যদি সব উড়িয়ে দিস, তাহলে আমি মরে গেলে কি কারবি।” “তখন তোমার ঐ বুকের ধন, ঐ লোহার সিন্দুক আগলে বসে থাকব। কথার শ্ৰী দেখা!” নেত্য আর সেখানে দাড়াইল না, চাল-ভাজার বাটটা সেখানে ফেলে চ’লে গেল ! “এমন না হ’লে কি আর কপালে ওর এতদুঃখ হয়।” এই বলিয়া তিনি যেন কি ভাবিতে লাগিলেন। একটু পরেই বলিলেন, “যাক, কাল একাদশী। মনে করেছিলাম, এবার থেকে নিৰ্জলা একাদশীই করব ; দেখছি হতভাগী তা করতে দিল না ; কা’ল এই চালভাজা কয়টি দিয়েই একাদশী করা যাবে।” আধ পোয় চাউলের একটা গতি হওয়ায় ঠাণ্ডা মল্লিক