পাতা:বাংলার ব্রত - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNR दांशब्द्र खड ভার পর জন্মে জন্মে মালিকা ব্ৰত করে সুখে থাকেন, চন্দ্ৰমুখী দুঃখ পান ; শেষে একদিন মালিকা দয়া করে চন্দ্ৰমুখীকে আবার ব্রত করতে শেখালেন। ফুফুটীজন্মেও মালিকা ব্ৰত করেছিলেন, সেইজন্য ব্ৰতের নাম হল কুঙ্কুটীব্ৰত। ব্ৰতকথা ও অনুষ্ঠানের মধ্যে যে-সব ফাকি সেগুলো যে পণ্ডিতেরা ধরতে পারেন নি তা নয়। ফসকা-গেরোকে আরও গেরো দিয়ে তঁরা কষে মুকুটীত্রতের সবটাকে ভবিষ্যপুরাণের সঙ্গে বাধলেন ; ব্ৰতকথা আরম্ভ হলশ্ৰীকৃষ্ণ উবাচ-বার বার পুত্ৰশোকে দেবকী রোদন করছেন দেখে লোমশ মুনি উাকে এই কুঙ্কুটীব্ৰতকথা বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ এক-রকমের প্রক্রিয়া, যেখানে ব্ৰতের নাম হুবহু বজায় রেখে তার অনুষ্ঠান ও উৎপত্তির ইতিহাস একেবারে বদলে ফেলা। আর-এক রকমের কারিগরি হচ্ছে নামটা পুরো নয়তো আধাআধি বদলে দেওয়া-অনুষ্ঠান অনেকটা বজায় রেখে। প্রাচীন দেবতা আর হিন্দুর দেবতায় একটা মিটমাটের চেষ্টা এই রা’লদুর্গা ব্ৰতটি। হরপার্বতী পাশা খেলছিলেন ; হঠাৎ শিব পাশা ফেলে বললেন, “কার জিৎ ?” দুর্গা বললেন, “কার জিৎ ?” বড়ুর ব্রাহ্মণ ছিলেন পাশে, বলে উঠলেন, “মা'র জিৎ।” অমনি শিবের অভিসম্পাতে ব্ৰাহ্মণের কুণ্ঠব্যাধি। দুর্গার দয়া হল। তিনি তঁাকে সূর্য-অর্ঘ্য দিয়ে রা’ল- দুর্গার ব্রত করতে শিখিয়ে দিলেন। এখানে সুৰ্যও রইলেন, দুৰ্গাও রইলেন। স্বর্ষের প্রাচীন নাম রা” বা রা’ল, বোঝালে এটি সুর্যপূজা ; কিন্তু “ৱালদুর্গা|” বললে এটি দুর্গার ব্ৰত। এইভাবে ‘অথ ব্ৰতোৎপত্তি’ বিবরণ লেখা হল छ्छ्रे দেবতারই মান বজায় রেখে, যেমন নমঃ নমঃ সদাশিবি তুম প্ৰাণেশ্বর। ভক্তিবাহনে প্ৰভু দেব দিবাকর। হরগৌরীর চরণে করিয়া নমস্কার। যাহার প্রচারে হল দেবীর প্রচার । শুন সবে সর্বলোক হয়ে হরষিত । বড়োই আশ্চৰ্য কথা সুর্যের চরিত। ইত্যাদি