পাতা:বাংলার ব্রত - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার ব্ৰত ३७ HH BBD DD DD LBDBB DDB DBDBB BDBDD S DBBDBD LLLD গেল । সব ব্ৰতগুলিকে সমগ্রভাবে দেখার কাজ বড়ো সহজ নয়। প্ৰকাণ্ড একটা ব্ৰতপ্রকরণ না লিখলে শাস্ত্রপুরাণের জট ছাড়িয়ে আমাদের দেশের হিন্দুধর্মের পুরাণের পূর্বেকারও ব্ৰতগুলির নিখুঁত চেহারা বার ক’রে আনা কঠিন। তবে ব্ৰতগুলি যে “আৰ্যগুহের এবং আৰ্যহৃদয়ের ছবি নয়, সেটা ঠিক। আর্যের চেয়ে বরং অনার্যের-অন্যত্রতদের গৃহলক্ষ্মীর পদাঙ্ক এই-সব ব্ৰতের আলপনায়, ছড়ার ব্ৰতকথায় সুস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। অনাৰ্য-অংশ শাস্ত্রীয় ব্ৰতগুলির মধ্যেও যথেষ্ট রয়েছে এবং সেই অংশগুলোকে হিন্দুপুরাণ ও তন্ত্রমন্ত্রের আবরণে ঢাকবার চেষ্টাও হয়েছে, কিন্তু সব সময়ে সে চেষ্টা সফল হয় নি দেখি । লক্ষ্মীব্ৰতটি মেয়েদের একটি খুব বড়ো ব্ৰত। আশ্বিনপুণমায় যখন হৈমন্তিক শস্য ঘরে আসবে, তখনকার ব্ৰত এটি। সন্ধ্যার সময় লক্ষ্মীপূজা । সকাল থেকে মেয়েরা ঘরগুলি আলপনায় বিচিত্ৰ পদ্ম, লতাপাত একে সাজিয়ে তোলে । লক্ষ্মীর পদচিহ্ন, লক্ষ্মীপেঁচা এবং ধানছড়া হল আলপনার প্রধান অঙ্গ ৷ বড়ো ঘর, যেখানে ধানচাল, জিনিসপত্র রাখা হয়, সেই ঘরের মাঝের খুঁটির-মধুম খামের গোড়ায় নানা আলপনা-দেওয়া লক্ষ্মীর চৌকি পাতা হয়। আলপনায় নানা অলংকার, এবং চৌকিতে, লক্ষ্মীর সম্পূর্ণ মূতি না লিখে কেবল মুকুট আর দুখানি পা কিংবা পদ্মের উপরে পা- এমনি নানারকম চিত্র দেওয়া হয়। খুঁটির গায়ে লক্ষ্মীনারায়ণ আর লক্ষ্মীপেঁচা বা পদ্ম, ধানছড়া, কলমিলতা, দোপাটিলতা, লক্ষ্মীর পদচিহ্ন আঁকা থাকে । চৌকির উপরে ডোল ও বেড়- ডালা ও বিড়ে । বেড়ের মধ্যে শুয়োরের দাতা ও সিঁদুরের কোটা এবং তার উপরে নানারকম ফল ইত্যাদিতে পূর্ণ রচনার পাতিল বা ভঁাড় রাখা হয়। রচনার পাতিলখানির গায়ে লক্ষ্মীর পদচিহ্ন ও ধানছড়া ; রচনার পাতিলটির উপরে লক্ষ্মীর সারা ; সরার পিঠে লাল নীল সবুজ হলদে কালে এই কয় রঙে লক্ষ্মীনারায়ণ, লক্ষ্মীপেঁচা ইত্যাদির আলপনা। লক্ষ্মীর কাপড়ে সবুজ রঙ, গায়ে হলুদবৰ্ণ, কালির পরিরেখ, এবং অধর ও পায়ের এবং করতলের জন্য লাল ; নীলবৰ্ণ পটভূমিকার কারুকাৰ্যে