পাতা:বাংলার ব্রত - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Ras go QS

  • মানুষ একেছে, কিন্তু এদের তো শিল্পকাৰ্য বলে ধরা যায় না -এগুলি মন যা চায় তারই মোটামুটি মানচিত্র। কিন্তু এই যে নানারকমের ܟܠ পদ্ম মানুষ কল্পনা থেকে সৃষ্টি করেছে, কিংবা এই যে কলালিতা, খুন্তিলতা, শঙ্খলতা, চালতালত প্রভৃতি লতামণ্ডল, এই বে। নানারকম আসনের পিাড়িচিত্র- এগুলি মণ্ডনশিল্প, মানচিত্র নয়। যেখানে অন্নপ্রাশনের পিাড়ি সেখানে শুধু অন্নের বাটিগুলি যেমন-তেমন করে একে দিলেই কামনা সফল হতে পারত, কিন্তু তা নয় ; মানুষ সেখানে দেখছি অনেক লতাBKDL tSBB DD BBDD BBDD L0LDJYDKD অতিরিক্ত অনেকখানি লেখা তাতে রয়েছে । তার পর এই তারাত্ৰতের সুৰ্য চন্দ্ৰ তারা এরা কিছুর অনুকরণ নয় ; শিল্পীর কল্পনা থেকে এদের সৃষ্টি হয়েছে । পিটুড়িগুলিতে কামনার প্ৰতিচ্ছবি দেওয়ার চেয়ে কারিগরি করবার ইচ্ছাটাই প্ৰবল দেখা যাচ্ছে। আর বছরের শেষে পৃথিবীকে নমস্কার দিয়ে পৃথিবী ব্ৰতের এই যে আলপনাখানি - নরনারীর জীবনের ক্ষণিক ইতিহাস নিয়ে পদ্মপাতার উপরে একবিন্দুর মতো এই যে টলটল একটি স্বষ্ট্রি-এটিকে তো কি পরিকল্পনার দিক দিয়ে কি কারিগরির দিক দিয়ে মানচিত্র কিছুতে বলা যায় না। পূর্বকালে মানুষ যে-কোনো কারণে হোক মনে করত, যে-জিনিস সে কামনা করছে তার প্রতিচ্ছবি লিখে কিংবা তার প্রতিমূতি গড়ে তাতে ফুল ধরে কামনা জানালে সিদ্ধিলাভ করবে। সে হিসেবে আলপনায় জিনিসটির প্রতিরূপ দিলেই তো কাজ চলে ; কিন্তু দেখছি, মানুষ। শুধু সেইটুকু করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না,

এবং তার মনও তৃপ্তি মানছে না। যতক্ষণ-না শিল্পসৌন্দর্যে সেগুলি ভূষিত করতে পারছে। অথচ কামনা-পরিতৃপ্তির পক্ষে কলমিলত আলপনা সুন্দর হল কি না হল তাতে বড়ো আসে যায় না ।