পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শেষ বয়স পর্যন্ত স্বপ্নের উপদ্রবে নাজেহাল হন, এমন কি আতঙ্কে অভিভূত হয়ে পড়েন। এঁদের হয়ত বহুকাল অভ্যাসের প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু লেগে থাকলে শেষ পর্যন্ত ফল মিলবে ঠিকই। কোনো বিশেষ জাতের স্বপ্ন যদি ক্রমাগতই উত্যক্ত করতে থাকে তবে তার প্রকৃতি জানবার জন্য আরো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা চাই।

সবচেয়ে কঠিন লড়াই হচ্ছে যৌন স্বপ্নের ব্যাপারে। যৌনপ্রবৃত্তি মানুষের গভীরতম সহজাত সংস্কারগুলির মধ্যে অন্যতম। তার উপর যৌনতার ঋতু ঘুরে ফিরে আসে, কিছুদিন পরে পরে স্বপ্নের দরজা খুলে দেয়। তা হলেও অন্তত আংশিক অব্যাহতি পাওয়া শক্ত নয়, এই আমার অভিজ্ঞতা। এক্ষেত্রে উপায় হচ্ছে আকর্ষণের বস্তু‌ুকে কল্পনা করে সেই সঙ্গে জপ করা, এতে আমি উত্তেজিত হই না, হব না, কামকে আমি জয় করেছি। নারীমূর্তিতে যদি কামনা জন্মায় তবে তাকে মা বা বোনের মূর্তির‍ূপে কল্পনা করাই বাঞ্ছনীয়। যৌনতার এমন একটা নিয়মিত জোয়ার-ভাঁটা আছে যা অন্য কোনো প্রবৃত্তিরই নেই একথা জানা না থাকলে যৌন-স্বপ্নের বিরুদ্ধে লড়াইএ সহজেই হার মানার ভয় আছে। সাহস না হারাতে হলে একথাও মনে রাখতে হবে যে যৌনপ্রবৃত্তিকে জয় করা বা তার উদ্গতি করা অনেকখানি ধৈর্যের অপেক্ষা রাখে।

নিজের কাহিনীতে ফিরে যাওয়া যাক। এক বৎসর বনবাসের পর কলকাতায় ফিরলাম। উদ্দেশ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরেকবার বাজিয়ে দেখা। কঠিন কাজ, কিন্তু তাযর চাবিকাঠি ছিল স্যর আশ‍ুতোষের হাতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনিই তখন হর্তাকর্তা বিধাতা। তাঁর অঙ্গ‌ুলি হেলনে আমার দণ্ডাদেশ রহিত হতে পারে। ব্যাপারটার

১১১