পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ সাতের মানুষ হতেন, নয় তো কিঞ্চিৎ স্মৃতিশাস্ত্রের আলোচনা করে ব্রাহ্মণ পণ্ডিত হয়ে বসতেন, আর শ্রাদ্ধ-সভায় গিয়ে অপবের দুৰ্বোধ্য সংস্কৃত শ্লোক মাথা নেড়ে আবৃত্তি করে অসাধারণ পাণ্ডিত্য জাহির করতেন। স্কুলের পড়া ছেড়ে দিয়ে শিবচন্দ্র বাড়ীতে পিতামহ কৃষ্ণসুন্দর ভট্টাচার্যোব কাছে ব্যাকরণ পড়তে আরম্ভ করলেন । কিন্তু বাপ বা পিতামহের কাছে BDD DD DBD DD DSS Bg D BDBuBD BDLKYiLB BDBBLD আছে । এ বংশের লোক যেমন তেজস্বী তেমনি দুর্দমনীয়। শিবচন্দ্রের পিতা এই সকল গুণের অধিকারী ছিলেন । শিবচন্দ্রও ছেলেবেলা থেকে পিতার এই গুণ লাভ করেছিলেন। বাল্যকালে তিনি যেমন দুর্দান্ত তেমনি এক গুয়ে ছিলেন । কোন কার্যে একবার না’ বললে এই ভট্টাচায-নন্দনকে কেউ ‘ই’ বলতে পারতেন না,--এমন কি স্বয়ং কাঙাল হরিনাথও না । এমন দুৰ্দমনীয় একগুয়ে ছেলের পাঠ পিতার কাছে বেশী দিন চলল। না । চন্দ্রকাকা তাকে নবদ্বীপে কৃষ্ণচন্দ্র শিবোমণি মহাশয়ের চতুষ্পাঠীতে পাঠিয়ে দিলেন। অপূর্ব মেধাবী শিবচন্দ্র অল্প কয়েক বৎসবের মধ্যেঈ ব্যাকবাণ, স্মৃতি ও দর্শনে বিশেষ আঁধিকার লাভ করলেন । কিশোর শিবচন্দ্রের এই অনন্য সাধারণ প্রতিভা দেখে তার অধ্যাপকের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন এবং তিনি যে অসাধারণ ব্যক্তি হবেন, এ ভবিষ্যদবাণীও করেছিলেন। শিবচন্দ্রেব কাছেই শুনেছি-তিনি যখন নবদ্বীপের টোলে অধ্যয়ন করতেন, তখন র্তার সতীর্থগণের মধ্যে কেউই তাকে অর্কে পরাস্ত করতে পারত না । সেই সময়েই তিনি সংস্কৃতে ও সুললিত সাধু বাংলায় অনর্গল বক্তৃতা করতে শিক্ষা कम् । নবদ্বীপের পাঠ শেষ করে শিবচন্দ্র কাশীতে বেদান্ত পড়তে যান, কিন্তু সেখানে আর তার বেদান্ত পড়া হোল না। যে তন্ত্রশাস্ত্র পুরুষানুক্রমে তাদের বংশে অল্পবিস্তর অধীত হয়ে আসছিল, সেই তন্ত্র শাস্ত্র অধ্যয়নের সুপ্ত সম্পূহ শিবচন্দ্রের হৃদয়ে জাগরূকু হােল। চন্দ্রকাকার মুখেও শুনেছি তাদের পূর্বপুরুষের কেহ কেহ তন্ত্রোক্ত ক্রিয়াকলাপের অনুষ্ঠানে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন, অতিপ্রাকৃত শক্তিসম্পন্ন হয়েছিলেন। যুবক শিবচন্দ্রের হৃদয়ে তন্ত্রালোচনার বাসনা বলবতী হোল। পূৰ্বপুরুষগণের সাধন-মার্গ অনুসরণ করবার জন্য তিনি কৃতসঙ্কল্প হলেন । কাশীতে সে সময়ে তন্ত্র-শস্ত্রের ধারা অধ্যাপক ছিলেন, ধারা তন্ত্রোক্ত ক্রিয়া-কলাপের • অনুষ্ঠান করতেন, শিবচন্দ্র তাদের