পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vei আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ প্রকাশিকা” সম্পাদন করতেন। প্রথমে কিছুদিন কলিকাতার আপার সাৱকুলাব রোডে গিরিশ বিদ্যারত্ব যন্ত্রে “গ্রামবার্ত্ত’ ছাপা হোতো । তার পর আমাদের গ্রাম কুমারখালিতে তিনি একটি প্রেস স্থাপন কবেন। সে প্রেস এখনও আছে। সেই চিল-মার্কা একটা মেশিন এখনও কাঙালের কাঙাল সন্তানগণের ভরণ-পোষণ নির্বাহ করছে। সে কাহিনী এখন থাক। কাঙাল যখন গ্রামে ছাপাখানা করলেন, তখন আমরা বাংলা স্কুলে পড়ি। আমার তখন থেকেই কি একটা কোক হয়েছিল। --বলতে গেলে স্কুলের কয় ঘণ্টা সময় ছাড়া, অবশিষ্ট সময় কঙালের ছাপাখানাতেই বসে থাকতাম। সেই, মুদ্রাযন্থ, সেই “গ্রামবার্ত্তা', আর সেই মহাত্মা কাঙাল হরিনাথ, চুম্বকের মত আমাকে আকৃষ্ট করে রেখেছিল। তার পর, একটু বড় হয়েই সেই আকর্ষণ এমন প্রবল হয়েছিল যে, আমার বয়স যখন ১৫ বৎসর তখন আমি চুপে চুপে ঘরে বসে একখানি ছোট খাটো উপন্যাসই লিখে ফেলেছিলাম। সে পাণ্ডুলিপি কিন্তু আর কাউকে দেখাই নি। বলতে গেলে সে কথা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। কুড়ি পাঁচিশ বছর পরে আমি যখন ‘বসুমতী’র সম্পাদক, সেই সময় আমাৰ কনিষ্ঠ ভ্রাত। অধুনা পরলোকগত শ্রীমান শশধর আমাদের বাড়ীর পুরোনো কাগজপত্র ঘাটতে ঘাটতে সেই অমূল্য রত্ন বেব করেন এবং আগাগোড়া পড়ে বলেন- "দাদা, এর একবর্ণও সংশোধন করতে পারবেন না-যেমন আছে তেমনি ছাপা হবে।” ছাপা হয়েছিল, শ্রীমান নলিনীরঞ্জন পণ্ডিতের বিশেষ তাড়নায় ; কিন্তু শশধর সে ছাপা-বই দেখে যেতে পারেন নি, অকালে কাল বািন্ত রোগে তিনি দেহত্যাগ করেন। বইখানির ছাপা আজ হবে কাল হবে করে বিলম্ব হয়ে গিয়েছিল। এ কয়টি কথা বলবার উদ্দেশ্য এই যে, এখনকার ছেলেরাই এচোড়ে পাকে না-সেকালেও এচোড়ে পাকা ছেলে জন্মাতো-এই আমিই তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। সুতরাং সেই সময় থেকেই আমি "গ্রামবার্ত্তা’য় হাত মক্স করতাম । তার পর কাঙাল হরিনাথ ‘গ্রামবার্ত্তা’র জন্য ঋণ-জালে জড়িত হয়ে পত্রিকা ছাপা বন্ধ করতে চান ; সে সময় আমরা কয়েকজন “গ্রামবার্ত্তা’ প্রকাশের BD BBDK Bu DgES DDD DBBO SLuDDDB BDBDB DDD S DD DBB ciशांल6म भाछेॉी कलडांग। পূর্ণ এক বৎসর “গ্রামবার্ত্তা’ সম্পাদন করে কাঙালের ঋণ-ভার আরও কিছু বাড়িয়ে দিয়ে আমরাই “গ্রামবার্ত্তা’র অস্তিত্ব লোপ করিা-এডিটার হরিনাথ ষোল আনা “কাঙাল হরিনাথ’ হয়ে বসলেন। তা হলেই বলতে হবে যে, সংবাদপত্রের