পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V পরমেশ্বরের মুখে সেই চির-পরিচিত সৰ্ব্বক্ষণের আনন্দময় হাসি নেই । সর্বদা মানুষকে হাসাবার ক্ষমতায় যেন তার ভাটা পড়েছে। তাকেও আজকাল মাঝে মাঝে রীতিমত চিন্তিত ও অন্যমনস্ক দেখায় ! মানুষ বলাবলি করে, কি হল তাদের পরমেশ্বরের ? অশাসনে কুশাসনে চুরি।চামারি নিপীড়নে মানুষের মুখ থেকে হাসি গেছে মুছে, অভাব আর ক্ষোভে জীবনটা হয়েছে অসহ একটা বোঝাঅন্য কাউকে হাসতে দেখলে চটে যেতেই যেন ইচ্ছা হয় মানুষের । কিন্তু পরমেশ্বরের হাসি দেখে, তার আনন্দের স্পর্শ পেয়ে দু’দণ্ডের জন্য প্ৰাণ ফেন জুড়িয়ে যেত সকলের, অসংখ্য সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রক্রিয়াটা যেন থেমে যেত । হাড়িমুখী রেণুকার মত মানুষকে পৰ্য্যন্ত পরমেশ্বর একদিন হাসি দিয়ে বশ করেছে, তাকে হাসতে শিখিয়েছে । সেই পরমেশ্বরের সহজ হাসি আর অফুরন্তু আনন্দের ভাণ্ডার কি তবে নিঃশেষ হয়ে এল ! একে একে প্ৰায় সকলেই তাকে জিজ্ঞাসা করে, কি ব্যাপার ঈশ্বরবাবু শরীর খারাপ নাকি ? না, শরীর মশায় ঠিকই আছেন ! জবাব দিয়ে পরমেশ্বর হাসে । ব্যাকুলভাবেই আবার প্রশ্ন করা হয়, একটু যেন কাহিল কাহিল। লাগছে আপনাকে ? সে রকম ফুতি নেই, একটু মনমরা ভাব ? বয়স হল, মন বুঝি মরার কথা টথা ভাবছে। মন বড় অবাধ্য, NVe