পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* সাৰ্বজনীন মুনিয়ে দেয় যে টু শব্দটি করা চলবে না, ইঙ্গিতেই তাদের সে নির্দেশ দেয় চুপচাপ বসে পড়ার। গান অভ্যাস করার ফাকে সবিতা বলে, এমনি শুনলে হবে না, পয়সা লাগবে। রেশন আনার পয়সা নেই। না খেয়ে শুকোলে গলায় গান খােলে না। বাইরে থেকে জিতু বলে, পয়সা দিয়ে পচা সিনেমা দেখি, বিনা *{{সায় গান শুনব কেন ? চাদ। আমরা তুলে দিচ্ছি-কিন্তু গান শেখা শুনিব শুধু ? শেখা গান দু’একটা হবে না ? ঃ হবে বৈকি। দরজার কাছে এগিয়ে এসে সবিতা পুরানো গান ধরে। গতির খাটিয়ে, ফসল ফলিয়ে, জিনিষ বানিয়ে মানুষের উপাসী থাকার 2ॉन । মহেশ্বরের সঙ্গে কথা শেষ করে পরমেশ্বর বস্তির দিকে পা বাড়ায়। সাধন আর সবিতার সমস্যার একটা মীমাংসার দরকার। কিন্তু তার আগেই সাধন আর সবিতা বেরিয়ে গিয়েছিল। সবিতার মা বলে, দুজনে সকাল বেলা বেরিয়ে গেছে একসাথে। ৪ কোথায় গেছে ? : কে জানে কোথায় যায়, কি করে। আমায় কি আর জানায় কিছু। জিজ্ঞেস করলে মেয়ে শুধু বলে, রোজগার করতে যাচ্ছি। সাধন বাড়ী ফিরলে সেদিন পরমেশ্বর তাকে জিজ্ঞাসা করে, কোথায় মাও কি কর বলতে পারবে না ? 1 : না জ্যাঠামশায়, জানতে চাইবেন না। এ মাস থেকে আমি ছু কিছু সংসার খরচ দেব।