পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোল কান্তিলালের বাসার ঠিকানা খুজে নিতে বিশেষ কষ্ট হয় না। সহরতলীতে বাসা হলেও কি ভাবে চিনে যেতে হবে পদ্মা সেদিন ভাল করে। बूक्मि निम्रछिल। সমীরের চেহারা দেখে পদ্মা কেঁদে ফেলে। * এমনি করে শরীরটা শেষ করেছে ? সমীর বলে, কঁাদিস নে। একমাসের মধ্যে মুটিয়ে গেছি দেখতে পাবি। শুনে সুরমার আশান্বিত মনটা একটু বিগড়ে যায়। এতো আরেক রকম ধাপ্লাবাজি। একমাসের মধ্যে রোগ সারবে কিনা সন্দেহ, সমীর জোর গলায় বলছে সে মুটিয়ে যাবে। ছোট বাড়ীটি পদ্মার। একখানা ঘর আর একটি টালির ছাওয়া রান্না ঘর। কে একজন নিজে বাস করার জন্য এক টুকরো জমিতে ব্যবস্থাটুকু করেছিল, কোন কারণে নিজে থাকতে না পারায় কান্তিলালকে ভাড়া দিয়েছে । বিয়েতে কিছুই পায় নি পদ্মা। গয়না গাটি জাম-কাপড় বাসন-কোসন আসবাবপত্র একরকম কিছুই নয়। বিধুভুষণ কিছুই দিতে দেয় নি, পদ্মার মা লুকিয়ে পাঠিয়েছিল গলার একছড়া হার এবং তার জ্যাঠামশায় ধরে দিয়ে গিয়েছিল নগদ কিছু টাকা । সমীর তখন হাবুডুবু খাচ্চে নিজের অধঃপতনে, সে জানতেও পারে নি তার বোনের একটা বেখাপ্পা বিয়ে হয়েছে।--তার বোনেরই জিদে । বিলাসের জিনিষ ফ্যাসানের জিনিষ নয়, ক্ৰমে ক্ৰমে সংসারের দরকারী জিনিষ কিনে কিনেই পদ্মা ঘরখানা ছবির মত সাজিয়েছে।