পাতা:আদিশূর.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় গর্তাঙ্ক । ] আদিশূত্র তক্ষশীল। নিশ্বাস ফেল-নিশ্বাস ফেল, কে কোন দিকে উড়ে যায় দেখি! অভিসম্পাত কর-অভিসম্পাত কর, কোনখানে কেমন অগ্নিতরঙ্গ ৰয় দেখি! বুদ্ধকে ডাক,--বুদ্ধকে ডাক, কটা বজের আবিষ্কার করে দেখি ! [ গম্ভীরভাবে চলিয়া গেলেন। অনাদিসেন। [ নিৰ্বাক-বিস্ময়ে তক্ষশীলের বহিৰ্গমন-পথ প্রতি চাহিয়া দাড়াইয়া রহিলেন । সনাতন উপস্থিত হইলেন। সনাতন । ব্রাহ্মণকে শান্ত করতে পারলে না। অনাদি ? অনাদি । না গুরু ! পারলাম না, হেরে গেলাম ; একটা কথা শুনে একেবারে চুপ হ’য়ে গেলাম। গুরু! আমার গুরু শব্দে ঘূণা হয়েছে। গুরু ! শ্বাপদের গুরু যেমন শকুনি-একটা কিছু ঘটাতে পারলেই নিজেব রক্তপানটা তো হবে, শিষ্যের দশায় যাই হোক না ; এও যে দেখছি उाँझे ! সনাতন । না অনাদি সকল গুরুকেই সে রকম ভেবো না বাবা ! এখনও জগতে এমন গুরু আছে, যারা গুরু হ’য়েও লঘু থাকতে চায়, আপনার পানে চায় না, জগতের মঙ্গল নিয়ে ব্যস্ত, শিষ্যের পায়ে কুশাঙ্কুর বিন্ধ হবার পূর্বে নিজের মাথায় বীজ নিতে পারে। যাক, সে আলোচনার এ সময় নয় ; যুদ্ধ উপস্থিত, উভয় পক্ষ সুসজ্জ। আমি এদের বেশ ক’য়ে বলে দিইছি, শক্তি খরচ করবে। ঠিক আত্মরক্ষার মত, যেন তার বেশী না হয়। তুমি যাও অনাদি ! তোমার সম্প্রদায়কে নিয়ে যাও, তাদের কাছে থাকৃবে-তাদের উত্তেজনা দেবে-প্রতি মুহূৰ্বে তাদের বুদ্ধের নামগান শোনাবে। যেন বীরত্বগর্বে অঙ্গায় আত্মহারা না হয়, অনর্থক রক্তপাত ‘ না করে, যেন বুদ্ধের উপদেশবাণী প্রতি অন্ত্রগ্রহণে স্মরণ থাকে-ষাও। : [ 8 J