পাতা:মুর্শিদাবাদ কাহিনী.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কাশীমবাজার

ধর্মপ্রাণ ব্রাহ্মণের নির্মিত বলিয়া কথিত।[১] কৃষ্ণেন্দ্র হোতা কাশীমবাজার ইংরেজকুঠীর গোমস্তা ছিলেন। হোতার অনেক সৎকী্র্তি এতদঞ্চলে দৃষ্ট হয়, তন্মধ্যে সৈয়দাবাদের দয়াময়ী ও জাহ্নবীতীরস্থ শিবমন্দিরই সর্বপ্রধান। খাগড়া-সৈয়দাবাদ হইতে বিষ্ণুপুরে আসিতে হইলে, একটি বিল অতিক্রম করিতে হয় বলিয়া, হোতা তথায় একটি সেতু নির্মাণ করিয়া দেন। অদ্যপি তাহা হোতার সাঁকো নামে প্রসিদ্ধ। কৃষ্ণেন্দ্র হোতা পলাশীর যুদ্ধ, দেওয়ানী গ্রহণ প্রভৃতি প্রধান প্রধান ঘটনার সময় বর্তমান ছিলেন। তাঁহার নির্মিত কোন কোন দেবমন্দিরের শিলালিপির সময় হইতে ঐরূপই অনুমান হয়। এইরূপ দুই-একটি মন্দির ও সমাধিক্ষেত্র ব্যতীত কাশীমবাজারের পুরাতন চিহ্ন কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। সর্বহারী কাল ইহার সমস্তই অপহরণ করিয়া কাশীমবাজারের পূর্বগৌরব কাহিনীতে পরিণত করিয়াছে।

  1. বিষ্ণুপুরের কালীমন্দির ভগ্নদশায় পতিত হওয়ায় কাশীমবাজারের প্রাতঃস্মরণীয়া রানী স্বর্গীয়া আর-না-কালী দেবী ইহার পূর্ণ সংস্কার করিয়া দিয়াছিলেন। পরে লালগোলার মহারাজ রাও যোগীন্দ্রনারায়ণ রায় বাহাদুর আবার অতি সুন্দররূপে তাহার সংস্কার করিয়া দিয়াছিলেন।