পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ মহাশয় সোৎসাহে বলতেন-'সে খুব পারবে। পণ্ডিত মহাশয় অপেক্ষাও বয়োবৃদ্ধ হেডমাষ্টার মহাশয় পরিদর্শনকার্য্য শেষ করে” চলে যেতেন। এইভাবে ইংরাজী স্কুলে সুদীর্ঘ তিন বৎসর বাংলাভাষা শিক্ষা করেছিলাম। তাতে আমার, কিছু ক্ষতি হয়নি। কাঙাল হরিনাথের কৃপায় আমি তখন বাংলা সাহিত্যের রখী মহারথী না হয়ে থাকলেও, বড় রকম জমাদার হয়ে পড়েছিলাম, এবং তারই জন্য প্রবেশিক পরীক্ষায় আমি বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় স্বান অধিকার করেছিলাম। পূজনীয় শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় সেবার প্রবেশিকা পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্যের পরীক্ষক ছিলেন । কলেজে প্রবেশ করবার পর একদিন তঁকে প্রণাম করতে গিয়েছিলাম, তিনি হেসে বলেছিলেন-‘দুর জলধর, হরিনাথ মজুমদার মশায়ের নামই ডুবিয়েচিল । বাংলায় ফাষ্ট হতে পারিস নি। ফাষ্ট কে হয়েচে জানিস? কাদম্বিনী বোস।” ইনিই পরে মেডিকেল কলেজের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যশস্বিনী চিকিৎসক হয়েছিলেন, এবং সে সময়ের প্রসিদ্ধ স্বদেশসেবক সাহিত্যিক দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীর সহিত তেঁর বিবাহ হয় । সে কথা থাক। আমি যে কলেজে পড়তে এসে আকুল সমুদ্রে পড়লামতারি কথা বলি। কলেজে পড়তে আসবার সময়ে আমার অভিভাবকগণের কারও মনে হ’ল না যে, আমি অসাধ্য সাধন করতে যাচ্ছি। দেবনাগরি অক্ষর পরিচয় যার নেই, সংস্কৃত ব্যাকারণের প্রথম পৃষ্ঠাও যে পড়েনি, তার হাতে একেবারে উঠল। কিনা সর্বশ্রেষ্ঠ রঘুবংশ ও ভট্ট। অভিভাবকেরা হয়ত মনে করেছিলেন, যে ছেলে পাড়াগায়ের একটা এন্দো স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বৃত্তি পেয়েছে, সে "একেবারে চতুভূজ, তার শক্তি অসাধারণ । আমি কলেজে প্রবেশ ক’রে চারিদিক অন্ধকার দেখলাম । সকল বিষয়েই আমি কঁচা। সংস্কৃতে ত একেবারে বর্ণজ্ঞানহীন । যা একটু জোর ছিল-গণিতশাস্ত্রে । আমি যখন কলেজে প্রবেশ করি, তখন ফাষ্ট আর্টস কেন, বি-এর গণিতশাস্ত্রও আমার পড়া হবে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে তো কুলোবে না বন্ধু! বিশ্ববিদ্যালয় যে মণিহারির দোকান! প্রত্যেক দ্রব্যটি চকচকে ঝকঝকে করে’ রাখা চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি নিয়ম থাকত-যার যে বিষয়ে ইচ্ছা, সে শুধু সেই বিষয়েই পরীক্ষা দিতে পারবে, তা’ হ’লে এই বৃদ্ধ বয়সেও গৰ্ব করে’ বলতে পারি যে, প্রবেশিকা পরীক্ষার পর দু-তিন বৎসরের BD gBB DBBD DDDD LDDLDB DBDBD gES0S KB BDYBD BBDDBDS