পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ এক ফোটা, চার আউন্স একটা শিশিতে সমস্তটা জল ভরে” তাতে ফেলে দিতেন । তারপর ১০১৫ মিনিট সেই শিশিট নেড়ে চেড়ে, সেই জলের কঁাচ্চ পরিমাণ ছোট একটা কাচের গ্লাসে ঢেলে আমাকে খাইয়ে দিতেন । বাস-এই সাত দিনের ওষুধ । সাতদিনের মধ্যে আর কোন ওষুধ খেতে হ’ত না । তারপর পথ্যের কথা । নুন, লঙ্কা একবারে বাদ । মশলার মধ্যে একটু জিরো বাট । তারকারী একবারে বন্ধ । মাছ খেতে দিতে আপত্তি নেই ; কিন্তু খেতে হবে মাছ সিদ্ধ করে, একটু জিরে বাটা মেখে। মিষ্টি জিনিষের মধ্যে খুব বেশী হলে সারাদিনে এক ছটাক মিছরি, তা’ছাড়া কিছু নয় । সুতরাং মোটের ওপর। পথ্য দাড়ালো, এক বেলা দুধ-ভাত, ছোট একটুকরো মিছিরি, আর এক বেলা দুধসাণ্ড । অন্য সময়ে ক্ষিদে পেলে, একটু দুধ । এই কঠোর নিয়মে পথ্য করে ছ’মাসেও চোখের অসুখ সারালো না বটে, কিন্তু আহার-সংযম অভ্যাস হয়ে গেল । সে সংযম এখন পর্যন্ত আমার আছে । প্রায় দু-বছর এমনি করে কাটিয়ে, যখন কিছুই হ’ল না, তখন অন্ধত্ব সম্বন্ধে কৃতনিশ্চয় হয়ে ঘরেব ছেলে ঘরে ফিরে গেলাম । আমি যখন চোখের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছিলাম, তখন আমার বড় দাদা দ্বারকানাথ সেন ডাফ কলেজে পড়তেন। তার আগের বছরে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ফেলা হয়ে, সেবার পুনরায় পরীক্ষা দেবার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছিলেন। কিন্তু অঙ্কশাস্ত্রে এমনই কঁচা ছিলেন যে, দ্বিতীয়বারও তার পাস হবার কোনই সম্ভাবনা ছিল না। আবার ফেল হবার ভয়ে একদিন কাউকে কিছু না বলে কলকাতা থেকে পলায়ন করলেন । দাদাকে না দেখে, এই বিদেশে আমিও কেঁদে আকুল । আমার পিসতুতো ভাই সহরময় অনুসন্ধান করলেন, পুলিসে পর্যন্ত খবর দিলেন। কিন্তু বড়দাদার কোন পাত্তাই পাওয়া গেল না। প্রায় পনের দিন পরে বাড়ী থেকে জেঠা মহাশয় চিঠি লিখলেন যে, বড়দাদা পালিয়ে একেবারে রাজমহলে গিয়েছেন এবং সেখানকার ইংরাজি স্কুলে (?) হেডমাষ্টারী (?) চাকরী নিয়েছেন। সেখান থেকে মাস ছয়েক পরে, গ্রীষ্মের ছুটিতে বড় দাদা BDDD BDBBS DBDB DD BDDDDBD BB BD DDB DBS BDDB BBD সাবডিভিশান ছিল, তিনি সবরেজেক্ট অফিসে হেড ক্লার্কের পদ পেলেন। মাসিক cवडम २० कि। cन সময়ে আমাদের কুমারখালির সাবডিভিশনাল অফিসর ছিলেন পরলোকগত কৃষ্ণচন্দ্র রায় । তার কিছুদিন পরেই আমি কলকাতায় থাকতে থাকতেই ইষ্টার্ণ বেঙ্গল ষ্টেট রেলওয়ে কুষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত রেল।