পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১১ করিয়াছিলেন, তাহা হইতে কিছুতেই বিচলিত হন নাই। তিনি কত। পরিশ্রম করিয়াছেন ও কত গ্রন্থ পড়িয়া কত দুরূহ নূতন নূতন বিষয় আয়ত্ত করিয়াছেন, তাহ৷ সাধারণ লোকের পক্ষে ধারণাতীত। এই উৎকট পরিশ্রমে তিনি দেহপাত করিয়াছেন॥ এই প্রকারে পরিস্ফট ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্রতধারী লোক, এই ভারতবর্ষের জঠ্য একান্ত ভাবে আবশ্যক। অক্ষয়কুমারের রচনা-রীতির আলোচনায় প্রথমতঃ মনে রাখা উচিত যে, র্তাহার রচনা-রীতির উপর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিশেষ প্রভাব ছিল। র্তাহার প্রথম সময়ের অনেক রচনা, বিদ্যাসাগর মহাশয় সংশোধন করিয়া দিয়াছেন। যে সাহিত্যিক বায়ুমণ্ডলের মধ্যে তিনি তাহার গ্রন্থ রচন৷। করিয়াছেন, সেখানে সে সময়ে সংস্কৃত সাহিত্যের বিপুল প্রভাব না থাকিয়াই পারে না। সেই সময়ে স্বর্গীয় বিদ্যাসাগর মহাশয় মহাভারতের অনুবাদ করিতেছিলেন– মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর খাথেদের বঙ্গানুবাদ করিতেছিলেন। অক্ষয়কুমার ঘদিও ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার প্রধান কার্য্যকারক ছিলেন, কিন্তু প্রবন্ধ নির্বাচনের জন্য একটি স্বতন্ত্র সমিতি ছিল। সুতরাং তত্ত্ববোধিনী সভা, কিরূপ ভাষায় প্রবন্ধাদি রচনা করিবেন, সে বিষয়ে ‘তত্ত্ববোধিনীর' লেখকগণের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল না। ঐ সমিতির ভিতর সংস্কৃতবিৎ পণ্ডিত। ছিলেন এবং তাহাদের মত যে সমাদরের সহিত গৃহীত হইত, তাহাতে অনুমাত্র সনেহ নাই। সাধনার প্রথম যুগে অবত্য এই প্রকারের বন্ধন, সকল ক্ষেত্রে না হউক, অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর ও কল্যাণপ্রদ। এই প্রকারের বন্ধন সত্ত্বেও অক্ষয়কুমার বাঙ্গালা রচনায় সংস্কৃতরীতির অনেক পরিবর্জন করিক্সা, বাঙ্গালা ভাষাকে তাহার নিজের প্রকৃতির অসুবর্ত্তী করিয়াছেন। ধনী, মানী জ্ঞানী। প্রভৃতি সংস্কৃত ইভাগাস্ত শৰ গুলি, বাঙ্গালা ভাষায় পূর্বে কর্তৃকারকের এক বচনে ঈকারাত্ত হইতঅন্যান্ত্য স্থলে ই-কারাত্ত হইত। অক্ষযুকুমার